পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপিকে চাপে রাখতেই আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে দিয়ে মিথ্যা আবেদন করানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কোথাও কোন অবৈধ অর্থ নেই। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ও তাদের আন্দোলনের ফসল’রা বারো বছর ধরে তন্নতন্ন করে খুঁজে তারেক রহমানের অবৈধ সম্পদের কোন সন্ধান পায়নি। অথচ ঢালাওভাবে তাঁর বিরুদ্ধে কত যে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে অপপ্রচার করেছে সেটির ইয়ত্তা নেই। এখন দুদককে দিয়ে আরেকটি কুৎসা রটনার নতুন অধ্যায় শুরু করলো। জিয়া পরিবারের প্রতি সরকারের প্রতিহিংসার প্রতিফলন এটি। গতকাল (শনিবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের নামে যুক্তরাজ্যের একটি ব্যাংকে থাকা তিনটি হিসাব জব্দের নির্দেশের আদেশ করিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। সরকারের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত একটি আদেশ দিয়েছে। মিথ্যা সাজানো মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে আটকে রাখা হয়েছে অন্যায়ভাবে। এখন বিএনপিকে চাপে ফেলতে সরকার দুদককে দিয়ে একটি কাল্পনিক ও মিথ্যা আবেদনের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে আদেশ করিয়েছে। এটি একটি আষাঢ়ে গল্প। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, তারেক রহমানের কোন অবৈধ অর্থ নেই। সেখানে তাঁর যা অর্থ আছে তা ইংল্যান্ড রেভিন্যুতে ট্যাক্সপেইড অর্থ। সেদেশে আইনের শাসন রয়েছে, সুতরাং সেখানে আনডিসক্লোজড মানি ট্র্যানজেকশন হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি যেভাবে সুসংগঠিত হচ্ছে, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সরকার ভীত হয়ে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাল্পনিক মিথ্যা অভিযোগ সামনে এনেছে। কারণ এখন সরকার যা বলে নিম্ন আদালত তাই করে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর যদি সরকারের নির্দেশ না মেনে কোন বিচারক ন্যায় বিচার করেন তাহলে তাদেরকে দেশ ছাড়তে হয়।
রিজভী বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিনাশ ও তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করার জন্য হেন কাজ নেই যা এই জনভিত্তিহীন সরকার করছে না। একদিকে তারা তাদের অনুগত কিছু পেইড মিডিয়া দিয়ে প্রতিদিন জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে হাইপার প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, অন্যদিকে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও কুৎসাই সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ ও তিতিবিরক্ত।
তারেক রহমানের চ্যালেঞ্জ কেউ গ্রহণ করেনি মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বার বার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ কেউ গ্রহণ করেনি। সরকার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলাসহ কিছু বানোয়াট মামলায় তারেক রহমানকে জড়িত দেখিয়েছে বিচার ও আইনের সকল নিয়ম কানুন লংঘন করে। এইসব মামলার এফআইআর বা চার্জশীটে তারেক রহমানের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। এমনকি একজন আসামীকে ৪’শ দিনের অধিক রিমান্ডে মারপিট ও অত্যাচার করে অচেতন অবস্থায় একটি জবানবন্দী জোগাড় করলেও পরে তিনি কোর্টে তা প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু আজ্ঞাবহ আদালত তা প্রত্যাহার না করে তারেক রহমানকে অভিযুক্ত দেখিয়ে বিচারের নামে প্রহসন করেছে। এমনকি অন্য একজনের ফিনান্সিয়াল মামলায় তারেক রহমানকে জড়িত করতে চাইলে একটি আদালত তারেক রহমানকে নির্দোষ রায় দেয়। কিন্তু সেই রায় শেখ হাসিনার নির্দেশিত রায়ের বিপক্ষে যাওয়ায় বিচারককে শেষ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে হয়। সরকারের হুকুমের বাইরে গিয়ে কোনো বিচারকের ন্যায়বিচার করার সাহস এবং সুযোগ নেই।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সাধারণত রাষ্ট্র পরিচালনায় গেলে ধীরে ধীরে সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছি, জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যে গোরস্থানের লাশও খিলখিল করে হেসে উঠবে। একাদশ সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত ও বিতর্কিত নির্বাচন। যে নির্বাচনে ভোটারদের দরকার পড়েনি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন মিলে আগের রাতে ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে রাখে, ভোটের দিন ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি।সে নির্বাচনের দৃশ্য দেশি ও আর্ন্তজাতিক মিডিয়ায় কিভাকে ফোলাও করে প্রচারিত হয়েছে তা নিশ্চয়ই ক্ষমতাসীনদের জানা থাকলেও এখন সেটি চেপে গিয়ে মুখস্থ মিথ্যা কথা বলছেন। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ তামাম গণতান্ত্রিক বিশ্বে সে নির্বাচন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সেই ভোটের নির্বাচনের প্রশংসা করা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়।
রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন,আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বাড়লে একাদশ সংসদ নির্বাচনে জনগণকে কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি কেন? গত নির্বাচনে কেন বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে গায়েবী মামলা দেয়া হয়েছিল? কেন ধানের শীষের প্রার্থীসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আটকিয়ে রাখা হয়েছিল? আগের রাতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসন মিলে ব্যালটবাক্স ভর্তি করলো কেন? একতরফা উপজেলা নির্বাচনে এখন ভোটাররা ভোট দিতে যায় না কেন? প্রধানমন্ত্রী এর জবাব জনগণকে দিবেন কি?
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী প্রমূখ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।