বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণকালে মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন কাঠগড়ায় মাথা ঘুরে পড়ে যান। পরে আইনজীবী ও অন্যরা তার মাথায় পানি ঢেলে কাঠগড়ার বাইরে এনে ফ্যানের নিচে বসান।
এদিকে, ৭ খুন মামলায় একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ৩০ মে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। এ নিয়ে ৫৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সকাল সাড়ে ৯টা হতে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া নূর হোসেনসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে ৫ জনের সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, মঙ্গলবার আদালতে ৭ খুনের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম শফিকুল ইসলাম, হত্যাকাণ্ডের পর আলামত জব্দের সময়ে সাক্ষী করা আবদুল আউয়াল, আজাদ শেখ, মো. রহিম ও হাসানের।
নূর হোসেনের পক্ষে আইনজীবী মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি খোকন সাহা সাংবাদিকদের জানান,নূর হোসেনের উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আদালত বিধি মোতাবেক কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
৭ খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা ও অপর বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি (নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী)। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭ জন করে। এ কারণে উভয় মামলার সাক্ষীদের একই সঙ্গে দুই মামলায় জেরা করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।