Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কচুরিফুলে অনন্য রূপে ইছামতি

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) থেকে ইসমাইল খন্দকার | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

সিরাজদিখান উপজেলার ইছামতি নদীর বুক জুড়ে এখন কেবল কচুরিপানা আর কচুরিপানা। যত দূর দৃষ্টি যায় নদীর বুকে ফুটেছে শুধুই কচুরি ফুল। ইছামতি নদী যেন এক অনন্য রুপে সেজেছে। চারদিকে শুধুই কচুরি ফুলে ফুলে সেজেছে এক সময়ের খরস্রোতা ইছামতি। সবুজ কচুরিপানায় ফুলের সমারোহ।
একদা এ ইছামতির বুকে লঞ্চ-স্টিমার চলাচল করত। কিন্তু কালের আবর্তে ইছামতি নদী এখন মৃত প্রায়। নাব্য সঙ্কট ও দখলের কবলে হারিয়ে যেতে বসেছে সিরাজদিখান উপজেলার খরস্রোতা ইছামতি। এখন আর ইছামতির বুকে লঞ্চ আর স্টিমারের হুইসেল বেঁজে ওঠে না। হাজারো মানুষ নৌযান চালিয়ে এখন আর জীবিকা নির্বাহ করে না। তাই তো মৃত ইছামতির বুক জুড়ে এখন জটলা পেকেছে শুধুই কচুরিপানা।
যৌবনদীপ্ত ইছামতির তীরে একদা সিরাজদিখান বাজার গড়ে উঠেছিল। তৎকালীন সময়ে এ বাজার হাজারো মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠত। ইছামতি নদী ঘিরে উপজেলার ইমামগঞ্জ, গ্রীগঞ্জ, সিরাজদিখান, ইছাপুরা, নোয়াপাড়া, শিংপাড়া, বৌবাজার, নিমতলা, শেখরনগর, মরিচা, সৈয়দপুর, রামকৃঞ্চদী, রাজানগর, বাহের ঘাটা, টেকেরহাট এলাকায় বাজার সরগরম করত। কিন্তু এখন ওই সব বাজারের সামনে ইছামতি মরা খালে পরিণত হয়ে উঠেছে। এ সব বাজারে যাতায়াত করতে এখন আর ডিঙ্গি নৌকা চলাচল করে না। চলে না ট্রলার কিংবা লঞ্চ। এতে অসংখ্য পরিবার বেকার হয়ে পড়ে। এখন ওই সব পরিবার অন্য পেশা বেছে নিয়েছে।
সিরাজদিখান বাজারের বাঁশ ব্যবসায়ী আবদুর রহিম (৬৫) বলেন, আমি প্রায় ৪৫ বছর ধরে বাঁশ ব্যবসার সাথে জড়িত। এক সময় ইছামতি নদী ছিল খরস্রোতা। নদীর এক তীর থেকে অন্য তীরের দৈর্ঘ্য ছিল অনেক। এখন ইছামতি নদী ছোট হয়ে গেছে। নদীর বুক জুড়ে কচুরিপানা ভরে যাওয়ায় এখন বাঁশ আনা নেয়া করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এখন নদীতে কোন ট্রলার বা নৌকা চলাচল করে না। তাই বাজারে বাঁশ সরবরাহ করতে এখন সড়ক পথ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে খরচও বেশী লাগে।
বাজারের রাইচ মিলের ব্যবসায়ী নজরুল শেখ (৫০) বলেন, ইছামতি নদীকে ঘিরে রাইচ মিল ছিল জমজমাট। এখন কচুরিপানার কারনে নৌকা বা ট্রলার টলার চলাচল করতে পারে না। দুর-দুরান্ত থেকে বাজারে রাইচ মিলেও আসে না অনেকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ