বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানী ঢাকায় বাসা থেকে বেড়িয়ে ১৯ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন কামরুল হাসান (৩১) নামের এক সফটওয়্যার প্রকৌশলী। গত ১ এপ্রিল মিরপুরের পল্লবীর বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে বের হয়ে তিনি আর ফিরে আসেননি। এ ঘটনার ২ এপ্রিল নিখোঁজ কামরুলের বাবা মো. রুস্তম আলী পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
কামরুল হাসানের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সারুটিয়া গ্রামে। ঢাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে পল্লবীর বারুণটেকে থাকতেন তিনি। তার স্ত্রী ও আড়াই মাস বয়সী একটা কন্যাসন্তান রয়েছে।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর ডিওএইচএসের ১০নং সড়কের ৬ নং লেনের ৭৬৪ নং বাসার দ্বিতীয় তলায় (এফ-১) অবস্থিত একটি আইটি ফার্মে কাজ করতেন কামরুল হাসান। ১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুরের বারুণটেকের ১৪/১নং বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে বের হন তিনি।
রাতে অফিস থেকে ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে রাত পৌনে ১১টায় কামরুল হাসান তার স্ত্রীর মোবাইলফোনে বার্তায় জানিয়ে দেন যে, তিনি বাসার দিকে রওনা হয়েছেন। কিন্তু এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি।
কামরুল হাসানের বাবা বিমানবাহিনীর সাবেক মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার মো. রুস্তম আলী বলেন, জিডি করার পর এখন পর্যন্ত আমার ছেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ডিবি ও র্যাবে যোগাযোগ করেছি। তারা কোনো হদিস দিতে পারেনি। পল্লবী থানায় যোগাযোগ করা হলে তারাও খোঁজ নিচ্ছেন বলে তাদেরকে জানিয়েছেন।
কামরুল হাসানের মামাতো ভাই প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, অফিস থেকে রাতে বের হয়ে বাসায় না ফেরায় পরদিন অফিসে যোগাযোগ করি। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি।
তিনি বলেন, কামরুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। স¤প্রতি ওই প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরিচ্যুত করা হয় তাকে। এরপর থেকে মিরপুর ডিওএইচএসের ১০ নম্বর সড়কের একটি ভবনে অফিসও ভাড়া নিয়েছিলেন কামরুল।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মশিউর রহমান বলেন, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কামরুলে খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা তার ফোন ট্র্যাকিং করে দেখেছি, অফিসেই তার ফোন বন্ধ ছিল। আর ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তিনি অফিস থেকে স্বাভাবিকভাবেই বের হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।