Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আতঙ্কের মাঝে চলছে পাঠদান

বেতাগীতে ঝুঁকিপূর্ণ ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

বেতাগী (বরগুনা) থেকে মো. নূরুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

বরগুনার বেতাগীতে জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করেছে। এসব জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিশুদের পড়াশুনা চালানো হচ্ছে। ফলে ঝুঁকিপুর্ণ বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে এবং ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষাকার্যক্রম। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনগুলো বেশ জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ১২৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। দেশি-বিদেশী সংস্থার অর্থায়নে ১৯৯০ সাল থেকে ২০০১ সালের মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মন্ত্রনালয় (এলজিইডি) ভবনগুলো নির্মাণ করেন। এর মধ্যে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ রয়েছে। এসব ভবনের ছাদের ও দেয়ালের পলেস্তার ও খাম্বার ইট-সুরকি খসে পড়ছে। কক্ষের ভেতরের দেয়ালে ফাটল ধরেছে, দরজা জানালা ভাঙা ও মেঝে ধেবে গেছে।
এ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানালেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের কুমড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেতাগী সদর ইউনিয়নের বাসন্ডা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরিষামুড়ি ইউনিয়নের জমির উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোকামিয়া ইউনিয়নের উত্তর জোয়ারকরুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাছুয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, করুনা মোকামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ বড় মোকামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম করুণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হোসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ হোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজিরাবাদ ইউনিয়নের মধ্য বকুলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিবিচিনি ইউনিয়নের পূর্ব দেশান্তরকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে চলছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ের ভবনগুলোর ছাদ, লোহার ভিম ও দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা। ছাদ থেকে লোহার ভিমের মরিচিকা ধরা রড বেরিয়ে এসেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই ভবনের ছাদ থেকে পানি পড়ে শ্রেণীকক্ষে। বড় মোকামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির মামুন হোসেন জানায়, ‘বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ক্লাশ করতে ভয় হয়।’ বাসন্ডা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা মোসা. সাহিদা পারভীন বলেন, ‘বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের পাঠদান করাতে হচ্ছে।’
এ বিষয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন,‘ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোর তালিকা ইতোমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে নতুন ভবন নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ