বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পণ্যে অতিরিক্ত পরিমাণ পারদের ব্যবহার পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ব্যাপারে পারদযুক্ত পণ্য ব্যবহারে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। তবে ২০২০ সালের মধ্যে পারদযুক্ত পণ্য ব্যবহার বন্ধে অবিলম্বে একটি আইন প্রণয়ন করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তর ও এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডো যৌথভাবে আয়োজিত কর্মশালায় বক্তরা এ কথা বলেন।
মিনামাটা ইনিশিয়াল অ্যাসেসমেন্ট (এমআইএ) প্রকল্পের অধীনে ‘পারদ দূষণ : স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবেশের ওপর প্রভাব’ বিষয়ক অংশীদার কর্মশালাটি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ড. মো. বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইয়াসমিন চৌধুরী, এমআইএ প্রকল্প পরিচালক মাসুদ ইকবাল মো. শামীম এবং এসডো মহাসচিব ও ইউএন এনভায়রনমেন্ট- এর পারদ বিশেষজ্ঞ ড. শাহরিয়ার হোসেন। এতে বুয়েটের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এতে বলা হয় কর্মশালায় পারদযুক্ত পণ্য ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি ও এর যথাযথ ব্যবস্থাপনার প্রতি জোর দিয়ে এই কর্মশালায় বিশেষজ্ঞগণ মত প্রকাশ করেন। বিভিন্ন পণ্য ও শিল্প প্রক্রিয়ায় পারদের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে, যা মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি। এতে জানানো হয় পরিবেশে নির্গত হওয়ার বহু বছর পরও পারদযুক্ত পণ্য পরিবেশের ক্ষতিসাধন করতে থাকে। ইএসডিও পরিচালিত জরিপে দেখা যায় যে, প্রতি বছর ২১,০৩০ কেজি পারদ পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ বলেন, ‘পারদ ও এর যৌগসমূহের ক্ষতি থেকে মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় মিনামাটা কনভেনশন অন মার্কারি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যাতে বাংলাদেশ ২০১৩ সালে স্বাক্ষর করেছে। ২০২০ সালের মধ্যে পারদযুক্ত বিভিন্ন পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।