পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি নেয়ার সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, দেশনেত্রী প্যারোলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। কয়েক দিন ধরে এ বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় আলোচনা হচ্ছে। আজকে একটি ইংরেজি পত্রিকা প্যারোলের দিন, তারিখ দিয়ে ছেপেছে আমার সঙ্গে কথা বলেছে। আমি বলছি এটা বেজলেস। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, পয়লা বৈশাখ, ঈদের দিন, ১৬ ডিসেম্বরের মতো বিশেষ দিনে বিএনপির নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। তেমনি এবারের পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ১৪ তারিখও খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়। এখানে নতুন কিছু আবিষ্কার করার সুযোগ নেই। যদিও খালেদা জিয়ার প্যারোল নিয়ে অনেকে অনেক কথা জানতে চেয়েছেন, বিষয়টি ভিত্তিহীন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে, এসব নির্বাচনে এমন ব্যক্তিদের নির্বাচিত করা হয়, যারা মানুষের অধিকার হরণ করেন। সাংবাদিকদের মধ্যে একটি শ্রেণী আছে, যারা ভালো আছে। কারণ, তারা একটি গোষ্ঠীর পক্ষ নিয়ে কথা বলে। এ ছাড়া বেশির ভাগ সাংবাদিক বেকার। যারা ‘উপনিবেশবাদ’, ‘আধিপত্যবাদের’ বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাদের চাকরি থাকে না। ফলে দেখা যায়, একের পর এক পত্রিকা বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা। সাংবাদিকদের গুম করা ও গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটছে।
দেশে মানুষের অধিকার নেই দাবি করে তিনি বলেন, দেশে মানুষের অধিকার নেই। ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের সঙ্গে উল্টো আচরণ করছে। আগে টেলিভিশনে অনেক ব্যক্তি টক শোতে কথা বলতেন। এখন তারা যেন না আসতে পারেন, সেই পরিপ্রেক্ষিত তৈরি করা হয়েছে। দেশে এমন একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে, যাতে করে অনেক জনপ্রিয় লোক টকশোতে আসছেন না। সত্য কথাগুলো নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ, যারা গণমাধ্যমে কাজ করেন নির্বাচনের পর তাদের বেশ কয়েকজনের চাকরি চলে গেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ ছাড়া বিকল্প নেই। সত্য কথা বুকে নিয়ে জনগণের সামনে যেতে হবে। এই লড়াই শুধু সাংবাদিকদের লড়াই নয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য সবাই যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, সেভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
নুসরাত হত্যাকান্ড ও সুবর্ণচরে গণধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই শিকদার, আব্দুস শহিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সি আবদুল মান্নান, বাকের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।