পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
“ভূ-গর্ভস্থ পানির আধার আর করোনা শেষ-ভূপরিস্থ পানিতেই বাঁচবে বাংলাদেশ”। এই লক্ষকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি নির্মাণ করছে। আর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ড লিমিটেড প্রকল্পটির কাজ করছে। সমন্বিত পানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। যার মাধ্যমে খরা মৌসুমে পানি সংরক্ষণ করে সেচ হিসাবে ব্যবহার করা হবে। সুইস গেটের আদলে নির্মিত হওয়ায় উপরিভাগের ব্রীজ দিয়ে সদর ও বিরল উপজেলার যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি হবে। প্রকল্পের ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সমন্বিত পানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামোটি বাস্তবায়িত হলে অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল সংক্ষেপে এসডিজি’র অন্তত ৮টি সূচক অর্জিত হবে। খরা মৌসুমে জেলার দক্ষিণাংশে খাওয়ার পানি সঙ্কট দূর হবে। গত বিশ বছরে দিনাজপুর জেলায় নির্মাণাধীন সর্ববৃহৎ এই সেচ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ফসল ও মৎস্য চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাস্তবায়নাধীন সমন্বিত পানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো সংলগ্ন এলাকায় কৃষি ও মৎস চাষে ব্যাপক সাড়া পড়ে গেছে। ফসল ও মৎস্য চাষের উন্নতির পাশাপাশি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান।
দিনাজপুর জেলা সদরের গৌরীপুর নামক স্থানে খরা মৌসুমে সম্পুরক সেচ প্রদানের লক্ষ্যে সমন্বিত পানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর অধীনে নির্মাণাধীন প্রকল্পটির কাজ তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। প্রকল্পের আওতায় যে সকল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে তা হলো চার ভেল্ট রেগুলেটর বা ৬ মিটার থেকে ৬ দশমিক ৫০ মিটারের সুইস গেট, ৯২ মিটার ইউয়্যার ও ৫০০ মিটার সংযোগ সড়ক। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যায় ধরা হয়েছে ৫১১১ দশমিক ২৮ লক্ষ টাকা।
সমন্বিত পানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামোটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে দিনাজপুর সদর ও বিরল উপজেলার প্রায় ৩৬’শ হেক্টর জমিকে চাষের আওতায় এনে শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি। ভ‚গর্ভস্থ পানি লেবেলের উচ্চতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রকল্প সংলগ্ন হাজার হাজার পরিবারের পানের পানি সঙ্কট দূর করা ও আর্সেনিকের প্রাদুর্ভাব প্রতিহত করা। দুটি উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নদী ও শাখা খালে দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ বৃদ্ধি করা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এসডিজি’র-১,২,৩,৪,৬,১২,১৩ ও ১৫ নম্বর সূচকগুলি অর্জিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে সর্বত্র সব ধরনের দারিদ্রের অবসান, ক্ষুধার অবসান, খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টিমান অর্জন এবং টেকসই কৃষির প্রসার। সকল বয়সী সকল মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ, সকলের জন্য অন্তর্ভূক্তিমূলক ও সমতভিত্তিক গুনগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টি। সকলের জন্য পানি ও পয়ঃনিস্কাশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা। পরিমিত ভোগ ও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা। জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় জরুরী কর্মব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্থলজ বাস্তুতন্ত্রের পুনরুদ্ধার ও সুরক্ষা প্রদান এবং টেকসই ব্যবহারে পৃষ্ঠপোষণ, টেকসই বন ব্যবস্থাপনা, মরুকরণ, প্রক্রিয়ার মোকাবেলা, ভ‚মির অবক্ষয় রোধ ভ‚মি সৃষ্টির প্রক্রিয়ার পুনরুজ্জীবন এবং জীববৈচিত্র হ্রাস প্রতিরোধ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।