বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল মহানগরীর নবগ্রাম রোড-চৌমুহনীতে হাতেম আলী কলেজ লেকটি ক্রমশঃ পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে ওঠায় শঙ্কিত এলাকাবাসি। প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে লেকটির কথিত সৌন্দর্য বর্ধনের কাজও অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পাশাপাশি লেকটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টিও সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগ ভুলতে বসেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসির। ফলে এ লেকপাড়ের নির্মল বায়ু ইতোমধ্যে দুষিত হতে শুরু করেছে।
লেকটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ অজু-গোসল করেন। বরিশাল জেলার তাবলীগ জামাতের মারকাজ মসজিদের বিপুল সংখ্যক মুসুল্লীও এখানে প্রতিদিন ওজু গোসলের জন্য আসেন। কিন্তু লেকটির পানি ক্রমশঃ ব্যবহারঅযোগ্য হয়ে পড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত ট্রাকগুলো প্রতিদিনই লেকের পূর্ব পাড়ে অবৈধভাবে পার্ক করে ধোয়া মোছার কাজ করে থাকে। এসব ট্রাকের পোড়াতেল মবিল ময়লা ড্রেন দিয়ে লেকের পানিতে মিশছে। সাবেক মেয়র ট্রাক পার্কিং বন্ধে এখানে সিটি করপোরেশনের নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েনে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
পাশাপাশি লেকের চারপাশে ভ্রমনে আসা অনেক বিবেকহীন নারী-পুরুষ প্রতিদিন পলিব্যাগসহ নানা ধরনের অপচনশীল বর্জ্য লেকের পানিতে ফেলছে। সেসব পলিব্যাগ,বর্জ্য দিনের পর দিন লেকের পানিতে ভেসে থাকে। কয়েকদিনের ব্যবধানে তা লেকের তলায় ডুবে গিয়ে পানিতে স্বাভাবিকভাবে অক্সিজেনও ব্যহত করছে। ফলে খুব শিগগিরই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার এ লেক থেকে দূর্গন্ধ ছড়াবারও আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। লেকের পশ্চিম পাড়ের রাস্তায় জঙ্গল ক্রমশ বড় হচ্ছে। এসব দেখার এখন আর কেউ নেই।
ইতোপূর্বে লেকের আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখাসহ এর পানি থেকে ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন অপসারনে সিটি করপোরেশনের একজন দৈনিক মজুরীভিত্তিক শ্রমিক নিয়োজিত ছিল। মাস কয়েক আগে ঐ শ্রমিককে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তার স্থলে একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দেয়া হলেও তার দেখা পাচ্ছেনা এলাকাবাসি। এদিকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে যে নতুন সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে সে কোথায় কি করছে তাও কেউ জানে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনের কনজার্ভেন্সি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। তবে তার এ বক্তব্যের পড়ে পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।
উল্লেখ্য, বরিশাল সিটি করপেরেশন ও জেলা পরিষদ তহবিল থেকে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর প্রাণকেন্দ্রের এ লেকের সৌন্দর্যবর্ধন কাজ শুরু হলেও তা এখনো শেষ হয়নি। লেকের উত্তর পাড়ের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ গত পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। পশ্চিম পাড়ের সড়কটি এ নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামোর জীর্ণদশার স্বাক্ষ্য বহন করছে। এ সড়ক উন্নয়নে একটি প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশনকে ৩০ লাখ টাকা আগাম নগর কর পরিশোধ করেছে আরো প্রায় ৫ বছর আগে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।