পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বছর ১৪২৬। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ১৪২৫-কে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বর্ষে পদার্পণ হলো বাঙালির। বর্ষজুড়ে আনন্দমুখরতা ও নতুন প্রত্যাশায় আজ বর্ষবরণের বর্ণিল উৎসবে মেতেছে বাংলাদেশ। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে রাজধানীসহ সারা দেশে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পৃথক বাণীতে দেশবাসীসহ বাঙালি সম্প্রদায়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ে সুবিধার জন্য বাংলা সন গণনার শুরু মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে। হিজরি চান্দ্রবর্ষ ও বাংলা সৌরবর্ষের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এ বাংলা বছর। ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলা বর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে সংযোগ ঘটেছে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও।
পাকিস্তান শাসনামলে শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালিয়ানা ও বাঙালিত্বের প্রতীক হয়ে ওঠে বর্ষবরণ। ষাটের দশকের শেষদিকে তাতে বিশেষ মাত্রা যোগ করে রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজন। স্বাধীনতার পর এ বর্ষবরণ উৎসব হয়ে ওঠে এক বড় উৎসব। ১৯৮৯ সালে এ আয়োজন রূপ নেয় স্বৈরাচারবিরোধী ঐক্যে। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা, যা ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা পায়।
বাংলা নববর্ষ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। দিনটি উপলক্ষে বরাবরের মতো আজও থাকছে সরকারি ছুটি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার।
প্রতিবারের মতো এবারো রমনার বটমূলে দিনের প্রথম প্রভাতে সরোদবাদন দিয়ে বর্ষবরণের মূল অনুষ্ঠান শুরু করছে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছায়ানট। সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বের করা হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা।
বাংলা একাডেমিও সকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। একাডেমি চত্বরে নববর্ষ উপলক্ষে বইমেলাসহ বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাংলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, জাতীয় জাদুঘর, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, কপিরাইট অফিস, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও বিসিক নববর্ষ মেলা, আলোচনা সভা, প্রদর্শনী, কুইজ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
নববর্ষ উপলক্ষে দেশের সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হবে। শিশু পরিবারের শিশুদের নিয়ে ও কারাবন্দিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কয়েদিদের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্যাদি প্রদর্শনীরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অভিজাত হোটেল ও ক্লাবেও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।