রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রাত পোহালেই পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ ১৪২৬। বাঙালির প্রাণের উৎসব। আর পহেলা বৈশাখের উৎসবকে সামনে রেখে মাদারীপুরে ইলিশ মাছের দাম এখন খুবই চড়া। খাওয়ার জন্য ইলিশ মাছ গরীব দিনমজুরদের কাছে অনেকটা স্বপ্ন। ইলিশের দাম অত্যাধিক চড়ার কারণে মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছেও তা অনেকটা স্বপ্নের মতো হয়ে দাড়িয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাদারীপুর জেলার ৪টি উপজেলার হাট-বাজারে বর্তমানে ইলিশ মাছের দাম খুব চড়া। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার আশায় ইলিশ মাছের কিছুটা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে ইলিশ মাছের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া অবাধে জাটকা নিধনের ফলে নদীগুলো ক্রমশ ইলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে। এরকম পরস্থিতিতে ইলিশের দাম হাতের নাগালের বাইরে। বর্তমানে মাদারীপুরে মাছের বাজারগুলোতে মনপ্রতি ইলিশের দাম ২০ হাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত ১ মাস আগে এসব বাজারগুলোতে ১০ থেকে ১৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। একটি মধ্যম সাইজের ১ কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে। একমাস আগে তা বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে। ইলিশের দাম চড়া স্বত্বে পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে অর্থবিত্তশালী ক্রেতাদেরকে বাজারগুলোতে বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। দামী ইলিশ মাছ আর পান্তা ভাত খেয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে ওইসব ইলিশ ক্রেতাদের কাছে যেন মাছের দামে কোন প্রভাব নেই। তবে ইলিশ মাছের চড়া দামে ইলিশ কিনতে না পারলেও জাটকা দিয়ে বর্ষবরণ করার কথা ব্যক্ত করে মাদারীপুর মানবাধিকার রিপোটার্স ফাউন্ডেশনের মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি ইয়াকুব আলী হাওলাদার। তিনি বলেন, ইলিশ আর পান্তা ভাত খেয়ে বাঙলা নববর্ষকে বরন করার অভ্যাস হয়ে গেছে তাই সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে সময় লাগবে।
ইলিশ মাছ আর পান্তা ভাত বিহীন নববর্ষ পালনকে সমর্থন করে বেসরকারী সংগঠন ‘ফ্রেন্ডস অব ন্যাচার’-এর সভাপতি রাজন মাহমুদ বলেন, ইলিশ মাছ আর পান্তা ভাত খেয়ে ১ লা বৈশাখ পালন করা পরিহার করতে হবে। কেননা দেশের জাতীয় সম্পদ ইলিশকে রক্ষা করতে হলে এ মুহূর্তে আমাদের পুরোনো সংস্কৃতি বাদ দিয়ে প্রয়োজনে অন্য মাছ বা অন্য কিছু খেয়ে আমাদের বর্ষবরণ করা উচিত। এই জন্য প্রয়োজন সৃজনশীল মানসিকতার। এদিকে ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য মাছের দাম ১ মাসের ব্যবধানে বেড়ে গেছে বর্তমানে রুই মাছ কেজি প্রতি ৩৫০, কাতলা কেজি প্রতি ২৫০, চিতল ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের পাশাপশি অন্যান্য মাছের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ইলিশের দাম কিছুটা বেশি তবুও ইলিশ মাছকে বাদ দিয়ে বর্ষবরণ কেমন যেন বেমানান, তবে বর্ষবরণ উপলক্ষে নিমন্ত্রণ অনুষ্ঠানে অন্যান্য আইটেমও থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।