Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্তে আবু সিনা ছাত্রাবাস ভবন সংরক্ষণে বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে-রাশেদা কে চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫২ এএম

তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী ‘আবু সিনা ছাত্রাবাস ভবন’ শুধু সিলেটের নয় পুরো বাংলাদেশের ঐতিহ্য এর সাথে জড়িত। এর স্থাপত্যরীতি একটু ভিন্ন। রয়েছে এর প্রতœতাত্তি¡ক মুল্য। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্তের কারণে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্রাবাসটি সংরক্ষণে বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এই মহামূল্য সম্পদকে একটা স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থে নাম মাত্র মূল্যে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। যা খুবই দুঃখ জনক।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও সিলেটের ঐতিহ্য রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক সমাজ-এর উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাগর-রুনী মিলনায়তনে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ‘আবু সিনা ছাত্রাবাস ভবন’ যথাযথভাবে সংরক্ষণের দাবীতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক, শরীফ জামিল এর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে ভবনটি নিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের করা গবেষণাপত্রের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কৌশিক সাহা। এতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইএবি)’র সাবেক সভাপতি, আবু সাঈদ এম আহমেদ, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সদ্য সাবেক সভাপতি, সি.এম তোফায়েল সামি, সিলেটের ঐতিহ্য রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক সমাজের মূখপাত্র ও প্রতœতত্ত¡ সংরক্ষক ডাঃ মোস্তফা শাহ জামান চৌধুরী বাহার, বাপা সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক, আব্দুল করিম কিম।

রাশেদা কে চৌধুরী আরো বলেন, দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ভবনটি ধ্বংস না করেও সরকার অন্য স্থানে হাসপাতাল করতে পারে। তিনি সিলেটের এই অমূল্য সম্পদসহ বিভিন্ন ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য সাংবাদিকদের বেশী বেশী প্রচারের জন্য অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বলছেন এ পকল্প বাতিল করলে টাকা চলে যাবে। এটা একটা নিছক অজুহাত। তাদের মনে রাখা দরকার, টাকা ফেরত গেলে টাকা পাওয়া যাবে কিন্তু ঐতিহ্য ধ্বংস হলে তা আর ফেরত পাওয়া যাবে না। তাই টাকাকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান। সরকার ইচ্ছা করলেই এই ঐতিহাসিক স্থাপনাকে রক্ষা করতে পারেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ