পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একদিন পরেই পহেলা বৈশাখ। অন্যান্য উৎসবের সাথে সাথে বাংলা নববর্ষও এখন বাঙালিদের উৎসবে পরিণত হয়েছে। বর্ষবরণের এই উৎসবকে নিজেদের মতো করে রাঙাতে নানা আয়োজন করে থাকে উৎসবপ্রিয় বাঙালিরা। যার অন্যতম অনুষঙ্গ বাঙালি খাবার পান্তা-ইলিশ, মুড়ি-মুড়কি, নানা স্বাদের মিষ্টান্ন। থাকে বাঙালিয়ানার পোষাকও। যদিও কর্মব্যস্ততা আর যানজটের নগরীতে মার্কেটে গিয়ে এসব কেনাকাটার সুযোগ পান খুব অল্পসংখ্যক মানুষ। তারপরও উৎসবের আয়োজন তো আর থেমে থাকে না। শপিং মল কিংবা মার্কেটে গিয়ে যারা কেনাকাটার সময় পান না তাদের বেশিরভাগই এখন নির্ভর করছেন অনলাইনভিত্তিক শপে। পাশাপাশি প্রিয়জনকে উপহার পাঠাতেও ব্যবহার করা হচ্ছে এই মাধ্যমকে। যা বিগত কয়েকবছর ধরেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল মার্কেট রিসার্চ ফার্ম এসএসএল ওয়ারলেসের তথ্য অনুয়ায়ি, দেশে বর্তমানে তিন হাজার ৫শ’টির মত কোম্পানি ই-কমার্স সেবা দিচ্ছে। আর ফেসবুকে পেজ তৈরি করে অনলাইন পণ্য বিক্রি করছে প্রায় ৩০ হাজার শপ।
বছরজুড়েই অনলাইন শপগুলো গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করতে থাকে। তবে উৎসবের সময় থাকে বাড়তি আয়োজন। সামনে পহেলা বৈশাখ। এই উৎসবকে সামনে রেখেও অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি। ইলিশ মাছ, শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, মুড়ি-মুড়কি থেকে শুরু করে সবকিছুই এখন পাওয়া যাচ্ছে এই ভার্চুয়াল মার্কেটে। তেমনি একটি ই-শপ অথবা ডট কম বৈশাখ উপলক্ষ্যে প্রায় আড়াই হাজার পিছ ইলিশ বিক্রি করেছে অনলাইনে। শুধু ইলিশই নয়, শাড়ি, লুঙ্গি, মিষ্টিও বিক্রি হচ্ছে এই সাইটে। অনলাইনের অন্যতম সাইট দারাজ ডট কম বৈশাখ উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে। বাগডুম দিচ্ছে ৬৮ শতাংশ ছাড়।
কেবল ওয়েবসাইটভিত্তিক অনলাইন শপই নয়, ফেসবুকভিত্তিক শপগুলোও বেচাবিক্রিতে অনেক এগিয়ে। বৈশাখে নারীদের জন্য জামা, শাড়ি, পূরুষের লুঙ্গি, গামছা, পাঞ্চাবি, শিশুদের পোষাক, অলঙ্কার সবই পাওয়া যাচ্ছে ফেসবুক ভিত্তিক শপে। ফেসবুকভিত্তিক একটি শপ কল্পতরু। প্রতিষ্ঠানটি মেয়েদের পোষাক ছাড়াও বিক্রি করছে মেয়েদের সৌন্দর্য্য সহায়ক প্রসাধনী। কল্পতরু অনলাইন শপের স্বত্ত¡াধীকারী আফসানা শর্মী জানান, সাধারণত তার শপে প্রতিদিন দেড়শ’ থেকে দুইশ’ অর্ডার আসে। আর পহেলা বৈশাখসহ অন্যান্য উৎসবগুলোতে অর্ডার আরও বেড়ে যায়। সামনে পহেলা বৈশাখ উৎসব উপলক্ষ্যে এবারও পোষাক ও প্রশাধনীর অর্ডার বেড়ে গেছে।
ডিজিটাল মার্কেট রিসার্চ ফার্ম এসএসএল ওয়ারলেসের চিফ অপারেটিং অফিসার আশিষ চক্রবর্তী জানান, অনলাইন মার্কেটের সাইজ এখন ১১শ’ থেকে ১২শ’ কোটি টাকা। যা গতবছরের তুলনায় ৭৫ ভাগ বেশি। যেভাবে এটি এগুচ্ছে বছর শেষে তা ১৮শ’ কোটি পর্যন্ত হতে পারে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সাধারণত প্রতিদিন তিন থেকে চার কোটি টাকার পণ্য অনলাইনে বিক্রি হয়ে থাকে। আর পহেলা বৈশাখসহ অন্যান্য উৎসবের সময় এটি আরও কয়েক কোটি বেড়ে যায়।
ক্রেতারা বলেন, অনলাইনে দেখে ভাল লাগলেই সেটাকে সঙ্গে সঙ্গে অর্ডার করা যায়। বৈশাখের কেনাকাটা এখন অনলাইনেই হয়। কাওকে উপহার দিতে চাইলেও সেটাও সম্ভব। এক ক্লিকে ঘরে বসে পেয়ে যাচ্ছি সব। তবে অনেক সময় পছন্দের জিনিস আমাদের কাছে পৌঁছায় না।
বাগডুমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিরাজুল হক জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই তারা অর্ডার পাচ্ছেন। বৈশাখ উপলক্ষ্যে গ্রাহকরা অনলাইনে যেভাবে কেনাকাটা করছেন তাতে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তবে আজকের ডিল ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর জানান, সাধারণ ট্রেন্ড অনুয়ায়ি পহেলা বৈশাখে যতটা সাড়া পাওয়ার কথা ঠিক ততটা পাচ্ছি না। কারণ হিসেবে তিনি জানান, সামনে রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর রয়েছে। অনকেই হয়তো সেই সময়ে কেনাকাটা করার জন্য অপেক্ষা করছেন। ####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।