Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

কারো হাতে অর্ধেক বই কারো হাত খালি

নিম্নমানের কাগজ ও অর্ধেক বইয়ে উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বিগত এক যুগ ধরে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া রীতিতে পরিণত হয়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন বছরের প্রথম দিন বই হাতে পাবে, নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মৌ মৌ করবে তাদের মন। তবে গতবছরের মতো এবারও নতুন বই নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা অব্যবস্থাপনা। ইতিহাসের সবচেয়ে নিম্নমানের কাগজে তৈরি বই এবার তুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের হাতে। তারপরও অর্ধেক বই দেয়া হয়েছে কোথাও কোথাও, আবার কোথাও বই না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন শিক্ষার্থীরা।

নিম্নমানের কাগজে ও অর্ধেক বই দিয়ে উৎসবের সমালোচনা করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মাহবুবুর রহমান লাবলু নামে এক অভিভাবক বলেন, জোড়াতালি দিয়ে বই উৎসব হয়েছে। টেলিভিশনের লাইভ দেখে মনে হয়েছে বইয়ের কোন সঙ্কট নেই। অথচ তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর নতুন বই না পেয়ে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরতে দেখলাম অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থীকে। এসব মিথ্যা প্রচারণার মানে কি?

শাহ ইমন নামে আরেক জন বলেন, যে বইগুলো দেয়া হচ্ছে সেগুলো ছাপিয়েছে কারা? খুবই নিম্নমানের পাতা। আমাদের সময় কতো উন্নত পেজ আর ভালো বাইন্ডিং ছিল। আমার ছেলের স্কুলে আজ বই দিয়েছে, বাসায় এসে বইগুলো দেখলাম, নিম্নমানের পাতা দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। জান্নাতুল ফেরদৌসী তানভী নামে আরেক অভিভাবক বলেন, প্রাথমিকের অন্যান্য শ্রেণিতে ২ থেকে ৩টি বই দেয়া হলেও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোন বই দেয়া হয়নি।

রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বই উৎসবের দিনে প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীর হাতে অর্ধেক বই তুলে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বাকী বই দেয়া হবে বলে শিক্ষার্থীদের জানিয়েছেন শিক্ষকরা। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্কুলেও একইভাবে নিম্নমানের কাগজে তৈরি অর্ধেক বই দেয়া হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও বই না পেয়ে শিক্ষার্থীরা খালি হাতে ফিরে গেছেন।

এদিকে গতকাল রোববার গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলুন উড়িয়ে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব-২০২৩ এর উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে বই উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, স্থানীয় এমপি সিমিন হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. কামাল হোসেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান ও গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম প্রমুখ।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, সারা দেশে আজ (গতকাল) বই উৎসব হয়েছে। সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যেখানে বছরের প্রথম দিন বই উৎসব হয় এবং কোটি কোটি শিক্ষার্থী এ বই উৎসবে অংশগ্রহণ করে।

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে তিনি বলেন, এমন একটি শিক্ষাক্রম গঠন করেছি, যেখানে শিক্ষা হবে আনন্দময়। পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভীত থাকবে না। পরীক্ষা থাকবে। তবে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুশীলন হবে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা তা করে শিখবে। কোনো মুখস্থবিদ্যার বালাই থাকবে না। সক্রিয় শিখন হবে। অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন হবে। যা শিখবে তা আবার প্রয়োগ করতে শিখবে। কেমন করে শিখতে হয়, তাও শিখে ফেলবে।

বই বিতরণ নিয়ে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে দীপু মনি বলেন, ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সরকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ২১১টি বই বিনা মূল্যে বিতরণ করেছে। এটি পৃথিবীর যেকোনো জায়গার জন্য অচিন্তনীয় বিষয়। কিন্তু কাজটি বঙ্গবন্ধু–কন্যার নির্দেশনায় আমরা প্রতিবছর করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের সরকার হবে স্মার্ট সরকার, অর্থনীতি হবে স্মার্ট অর্থনীতি, সমাজ হবে স্মার্ট সমাজ, এসব গড়ার জন্য দরকার স্মার্ট শিক্ষা। নতুন শিক্ষাক্রম তৈরির মাধ্যমে আমরা সেই শিক্ষার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে বই উৎসবের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। বই বিতরণ নিয়ে মন্ত্রণালয়র প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, নতুন বই যেভাবে শিশুদের আনন্দিত, উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করে সেই অনুপ্রেরণায় আজকের শিশুরা আগামীর আলোকিত বাংলাদেশ গড়বে। তিনি বলেন, নতুন বই শিশুদের কাছে পরম প্রাপ্তি। নতুন বই শিশুকে বিমুগ্ধ ও বিমোহিত করে, বইয়ের ঘ্রাণ শিশুকে বিভোর করে। নতুন বইয়ের পৃষ্ঠা শিশুকে কৌতুহলী করে তোলে। শিশুর মনোজগতের এ আবেগকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনায় ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে শতভাগ নতুন পাঠ্যবই প্রদান করা হচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।

মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে ২ কোটি, ১৯ লাখ, ৮৪ হাজার, ৮২৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৯ কোটি ৬৬ লাখ ০৮ হাজার ২৪৫টি বই বিতরণ করা হবে। প্রাক প্রাথমিক স্তরে ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ৮৪টি আমার বই এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির প্রা-প্রাথমিক এবং ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির সর্বমোট ২লাখ, ১২ হাজার ১৭৭টি পাঠ্য পুস্তক বিতরণ করা হবে। আজকের অনুষ্ঠানে যে বই বিতরণ করা হয়েছে এটি প্রতীকী; যার ফলে সবার হাতে সব বই পৌঁছুবে না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে স্ব স্ব স্কুল থেকে বই প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে রাজধানীর ৩৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম-পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই তুলে দেয় হয় এবং ২০২২ সালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ৫ (পাঁচ) সদস্য; যারা বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্ট থেকে উঠে এসেছেন তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

দক্ষিনাঞ্চলের ৬ জেলায় পৌঁছেনি ৭৫ ভাগ বই:
নাছিম উল আলম জানান, দক্ষিনাঞ্চলের ৬ জেলার প্রাথমিক ও মাধমিক স্তরের প্রায় ১৮ লাখ ছাত্রÑছাত্রীর জন্য চাহিদার ৭৫ ভাগের বেশী পাঠ্যপুস্তক এখনো পৌঁছেনি। তবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় দপ্তর থেকে চাহিদার কতভাগ বই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৌছেছে এবং বছরের প্রথম দিনে বিতরনকৃত বইয়ের সংখ্যার পরিসংখ্যান বলতে পারেনি। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছরের প্রথম দিনে দক্ষিনাঞ্চলের মাধ্যমিক স্তরে প্রায় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই পুরো বই বিতরণ সম্ভব হয়নি। প্রথমিক স্তরেও চাহিদার সব বই পৌঁছেনি এখনো।

বছরের প্রথম দিনে বরিশালে প্রাইমারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষে অতিরিক্ত কমিশনার-সার্বিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রÑছাত্রীদের মাঝে বই বিতরন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। একই দিনে মহানগরীর সরকারী বালিকা বিদ্যলয়ে বশিালের জেলা প্রশাসক মাধ্যমিক স্তরের বই বিতরন কার্যকক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোন করেন।

বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২টি উপজেলায় প্রাথমিক স্তরের ১১ লাখ ৯১ হাজার ৪৬ ছাত্রÑছাত্রীর জন্য এবার ৪৭ লাখ ৬৭ হাজার ৪৬০টি চাহিদার ৭৫ ভাগের বেশী বই এখনো পৌঁছেনি। তবে জেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অবশিষ্ট বই খুব শিঘ্রই আসছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক স্তরের সমুদয় পাঠ্যবই বিতরন সম্ভব হবে বলেও দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে।

অপরদিকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে মাধ্যমিক স্তরের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ছাত্রÑছাত্রীর জন্য ১ কোটি ৭৩ লাখ চাহিদার স্থলে বছরের প্রথম দিনে প্রায় ৭৫ ভাগ বই দক্ষিণাঞ্চলের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক ও মাধমিক স্তরে সরকারের বই বিতরন কর্যক্রমে এবার প্রধান অন্তরায় কাগজ সংকট। কাগজের অভাবে সময়মত সমুদয় পাঠ্য পুস্তক ছাপান সম্ভব হয়নি বলে জনিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক ও গনশিক্ষা অধিদপ্তর ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিপ্তরের দায়িত্বশীল মহল।
তবে চাহিদার সমুদয় পাঠ্যবই না পৌছলেও বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ এলাকাতেই রোববার, বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রÑছাত্রীদের নতুন বই নিয়ে বাড়ী ফিরতে দেখা গেছে মহাখুশিতেই।

ময়মনসিংহে বই উৎসবেও আনন্দ নেই বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর !
মো: শামসুল আলম খান জানান : ময়মনসিংহ জেলায় ৪ হাজার ৭১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ৯৯৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৩ শতাংশ নতুন বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে সব শিক্ষার্থীরা পায়নি নতুন বই। এর ফলে নতুৃন বই হাতে পেয়ে একদল শিক্ষার্থীরা আনন্দ উচ্ছাসে মেতে উঠলেও খালি হাতে বাড়ী ফিরেছে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী।
রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এই চিত্র দেখা গেছে ময়মনসিংহের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, প্রাক-প্রাথমিকে শতভাগ বই পেলেও প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বই প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

এদিকে সকালে নগরীর নওমহল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসব এবং বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে বই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস। উদ্বোধনের পর শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়।

বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারদিন ফারাহ ঊষা বলেন, নতুন বছরে নতুন বই পেয়ে নতুন যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। নতুনভাবে পড়াশোনা করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ।
সুবাইতা জাহান রোজা নামে নওমহল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বলেন, আমি দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণিতে উঠেছি। আমার বই মূলত ছয়টা, তবে আমি তিনটা বই পেয়েছি। আর বইয়ের পৃষ্ঠাগুলো ঘোলা ঘোলা। তবুও নতুন বই পেয়ে আনন্দ লাগছে। তবে বই না পেয়ে মন খারাপ করেছেন কেউ কেউ। শিক্ষার্থী আবিদ হাসান বলেন, আমি এবার চতুর্থ শ্রেণিতে উঠেছি। আমার অনেক আজ বই পেয়েছে কিন্তু আমি পাই নি। তাই আমার মনটা একটু খারাপ। স্যাররা বলেছেন, পরে আমাকে বই দিবেন।

চৈতি রাণী নামে এক অভিভাবক বলেন, সবাই বই না পেলে আসলে বিষয়টা খারাপ লাগে। এতে বাচ্চাদেরও মন খারাপ হয়। তারা অনেক উৎসাহ নিয়ে স্কুলে এসেছিল। কিন্তু তারা বই না পেয়ে মন খারাপ হয়েছে।
অপরদিকে নগরীর প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাই স্কুল, মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ উচ্চ বিদ্যালয় এবং কৃষ্টপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু।
এ সময় মেয়র বলেন, বছরের প্রথম দিনে আমরা বই উৎসব উদযাপন করতে পারছি এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভব হয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সুশিক্ষিত করার লক্ষ্যে এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনন্য উদ্যোগ।

এবিষয়ে সরকারি আনন্দমোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শতভাগ বই না পাওয়া এবং বইয়ের গুণগত মান খারাপ হয়ে থাকলে শিক্ষার্থীরা প্রথমেই একটা বড় ধাক্কা খাবে। বইয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোনিবেশ ঘটাতে সময় লাগবে। তবে আমার পরামর্শ হচ্ছে পরবর্তী ধাপে যে বইগুলো আসবে সেটির গুণগত মান যেনো ঠিক থাকে। সরকারের শতভাগ বই পৌঁছানোর জন্য চেষ্টা ছিল। হয়তো কোন কারণে সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
বরুড়া (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলায় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল ১ জানুয়ারী ছাত্রছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া কথা থাকলেও বই পাইনি। উপজেলা প্রাথমিক অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান ,নতুন বই না আসায় বই বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। বই আসলে বিতরণ করা হবে। তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা বই পায়নি। এই নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে ।

সুনামগঞ্জে পায়নি অষ্টম-নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা:
সুনামগঞ্জে বিনা মূল্যে নতুন বই বিতরণ কর্মসূচির ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনো নতুন বই পায়নি। সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আংশিক বই বুঝে পেয়েছে। এমনকি ষষ্ঠ শ্রেণির শতভাগ শিক্ষার্থীদের হাতে এখনো ওঠেনি নতুন বই। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য এবার নতুন বইয়ের চাহিদা হচ্ছে ৩২ লাখ ২৬ হাজার ৬১৭টি। গত ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া গেছে ১০ লাখ ৭২ হাজার ৬৩টি। এরপর আরও কিছু বই এসেছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছরের প্রথম দিন সরকারের বিনা মূল্যে বই বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। করোনার কারণে এবার হয়নি কোনো উৎসব। কর্মসূচির ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে শুধু ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির কিছু বই বিতরণ করা হয়েছে। এই দুই শ্রেণিতে ১৪টি করে বই পাওয়ার কথা। কয়েকটি বিদ্যালয়ে অর্ধেক কিংবা একটি করে বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। পৌর শহরের এইচএমপি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্লাস শুরু হয়ে গেলেও তারা চাহিদা মোতাবেক বই পায়নি। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুজয় দেব বলে, সে নতুন বই পায়নি। প্রতিবেশী এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পুরোনো বই সংগ্রহ করেছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রেমানন্দ বিশ্বাস বলেন, যেসব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পায়নি, সেসব শ্রেণিতে শিক্ষকেরা নতুন বই ছাড়াই পুরোনো সিলেবাস ধরে পড়াচ্ছেন।
সদর উপজেলার মঙ্গলকাটা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. উস্তার আলী জানান, তাঁদের বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একটি করে এবং সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ১৪টির মধ্যে ৭টি করে বই পেয়েছে। অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনো কোনো বই পায়নি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে বই আসছে এবং তাঁরা সেগুলো বিতরণ করছেন। সুনামগঞ্জে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সব বই পেতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।
ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির বই পায়নি পঞ্চগড়ে:

পঞ্চগড় সদর উপজেলার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার কলেজিয়েট ইনস্টিটিউটের মাধ্যমিক শাখার প্রধান শিক্ষকের দাপ্তরিক কক্ষে নতুন বই পাওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিতে আসে অষ্টম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে তাদের বই দেওয়া হবে বলে ওই তিন শিক্ষার্থীকে আশ্বস্ত করেন প্রধান শিক্ষক তাহেরুল ইসলাম। নতুন বছর শুরুর এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন চিত্র বিরাজ করছে। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীরা শতভাগ বই হাতে পাবে বলে বলছেন শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যের বই পেলেও এখনও শতভাগ বই পায়নি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুধু সপ্তম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অর্ধেক বই হাতে পেয়েছে। এ ছাড়া ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এখনও কেউই বই পায়নি। এমনকি জেলা শহরের দুটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পঞ্চগড় বিষ্ণুপ্রসাদ (বিপি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সব বই হাতে পায়নি।

খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা জেলা পর্যায়ে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব গতকাল রোববার সকালে খুলনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সরকারি দৃষ্টি ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এবং মোহাম্মদ নগর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসাসহ ১২টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সাজিদ হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনাঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর শেখ হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে উৎসবমুখর পরিবেশে পাঠ্যপুস্তবক উৎসব দিবসে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে পাঠ্যপুস্তবক উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক এই পাঠ্যপুস্তক উৎসবের আয়োজন করে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এএনএম মইনুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, নতুন ক্লাশের নতুন বই হাতে নিয়ে কুমিল্লা মহানগরীর চকবাজার ইসলামিয়া আলীয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না। নতুন বই হাতে নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফিরেছে ওরা। এর আগে নতুন বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে দেশপ্রেমিক ও দ্বীনি শিক্ষায় আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় আলিয়া মাদরাসা মাঠে নতুন বই বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তত দেন চকবাজার ইসলামিয়া আলীয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল মতিন। সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. ওমর ফারুক।

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, এবছর বাগেরহাটের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ২১ লক্ষ বই বিতরণ করা হয়। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বাগেরহাটে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থীদের মাঝে ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৪২৭টি নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২ টায় টাঙ্গাইল জেলা সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বই বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দীন হায়দার।

হিলি সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরের হিলিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাহিলি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-উর রশিদ হারুন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম, ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিস আয়োজিত বই উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. জিয়াউল হক মীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, প্রমুখ।

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল সকালে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু শিক্ষার্থীতের হাতে নতুন বই তুলে দেন।
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, শেরপুরে অনুষ্ঠিত হলো বই উৎসব। বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার।
জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, জয়পুরহাট জেলাতেও শিক্ষার্থীদের মাঝে বই উৎসব কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘বই উৎসব’ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোতে পাঠ্য বই বিতরণ করা হয়েছে। এ বছরে জেলার আড়াই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চার লাখ শিক্ষার্থীর হাতে যাচ্ছে ৩৭ লাখ বই। গতকাল বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নাটোর-২ (নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের এমপি মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা জানান, রাজবাড়ীর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থী। এ সময় নতুন বই পেয়ে খুশি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দ।
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরেও বছরে প্রথম দিনে শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে। গতকাল ফরিদপুরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় বই উৎসব পালিত হয়েছে। উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হতে বিনামূল্যের বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, সিরাজগঞ্জ জেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন বই বিতরণ হয়েছে। গতকাল সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত বই বিতরণের উদ্বোধন করেন।

ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঢাকার ধামরাইয়ে লক্ষাধিক শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে নতুন বই। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় এমপি মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ নতুন বই তুলে দেন।

বদলগাছী (নওগাঁ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলাতেও সালের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব পালিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, নওগাঁ ৪৮/০৩ আসনের এমপি ছলিমদ্দীন তরফদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, থানার ওসি আতিয়ার রহমান প্রমুখ।
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নে হজরত শাহজালাল (রহ) দারুসুন্নাহ হিফজুল কোরআন দাখিল মাদরাসায় পালিত হয়েছে বই উৎসব।
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সকল প্রাথমিক, প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৩ সালের বই উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।

ইসলামপুর (জামালপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, জামালপুরের ইসলামপুরে সারাদেশের ন্যায় নতুন বছরের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান। গতকাল সকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু.তানভীর হাসান রহমানের সভাপতিত্বে প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়েছেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. ড. মো. শামীম আল সাইফুল সোহাগ। বই বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান।
ঝিনাইগাতী (শেরপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইগাতী সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠ্য পুস্তক উৎসব দিবসের উদ্বোধন করেন, প্রধান অতিথি ও বিদ্যালয়ের সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আল মাসুদ।

কাপাসিয়া (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় উৎসবমূখর পরিবেশে গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব-২০২৩ পালিত হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল সকালে সুন্দরগঞ্জ আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ।



 

Show all comments
  • Md. Aman Ullah Talukder ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:৪৪ এএম says : 0
    অত্যন্ত নিম্নমানের কাগজের বই।
    Total Reply(0) Reply
  • Faruk Dhali ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৫ এএম says : 0
    অর্ধেক বইয়ের উৎসব না, এক তৃতীয়াংশ বইয়ের উৎসব।
    Total Reply(0) Reply
  • Monowar Talukder Monowar ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৫ এএম says : 0
    অত্যান্ত দুঃখজনক। এতো নিম্নমানের কাগজ এর আগে দেখিনি।
    Total Reply(0) Reply
  • Khan Hafiz Khan ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৫ এএম says : 0
    সব জাগাতেই জয় বাংলা হয়ে গেছে
    Total Reply(0) Reply
  • নিযামুদ্দীন পাহাড়পুরী ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৫ এএম says : 0
    গতকাল নতুন বই ঘেঁটে ঘেঁটে দেখলাম ইতিপূর্বে এত নিম্নমানের কাগজ আর দেখিনি, আর সবাইত বই পায়নি। যদি দেশ উন্নয়নই হয় তাহলে এ করুণ দশা কেন?? ২০৩১,২০৪১ সালের কথা সামনে রেখে ১৪ বছরের ইতিহাস ঘাঁটলেই সব পরিস্কার।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Harun Rashid ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৬ এএম says : 0
    এগুলো হলো সবচেয়ে বাজে কাগজের বই।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Ali ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৬ এএম says : 0
    বইয়ের দরকার কি? জিপিএ ৫ তো এমনিতেই পাওয়া যায়
    Total Reply(0) Reply
  • Shahin Raza ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৬ এএম says : 0
    ব্যাপার না। যে দেশে পা চাটতে পারলে যোগ্যতা ছাড়াই সহজে বড় হ‌ওয়া যায়। সে দেশে ব‌ইয়ের পাতায় আবদ্ধ না থাকলেও কোন সমস্যা নেই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বইয়ে উৎসব
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ