Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা প্রশংসনীয়

কর্মশালায় এলজিআরডি মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:২২ এএম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্থানীয়ভাবে সহজে, কম খরচে, দ্রুত এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা প্রশংসনীয়। দেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা জনগণের সংখ্যার তুলনায় অপর্যাপ্ত। এ শূন্যতা পূরণে গ্রামে ছোটখাট বিরোধগুলো মিটিয়ে ফেলতে গ্রাম আদালত কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনস্থ বিয়াম ফাউন্ডেশনে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ক কর্মশালায় এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন টু বাংলাদেশ-এর টিম লিডার অড্রে মেলট এবং বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. কাজী আনোয়ারুল হক।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়ক সরদার এম আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
কর্মশালায় ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি, ইউএনডিপির প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, প্রকল্পভুক্ত জেলার সংশ্লিষ্ট উপপরিচালকগণ, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা সমন্বয়কারী, প্রকল্প অফিসের কর্মকর্তা, সহযোগী বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিগণসহ প্রায় ১৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষকে বঞ্চিত করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সেজন্য গত নির্বাচনের আগেই বর্তমান সরকার তাদের ইশতেহারে শহরের বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১১২ টি সেবা প্রদানের কথা থাকলেও সকল ইউনিয়ন পরিষদ যথাযথভাবে তা প্রদান করতে সক্ষম নয়। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত বিশ হাজার লোক বাস করে। তাদেরকে যথাযথ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করতে পারলে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং তাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাও বাড়বে। ফলশ্রুতিতে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হবে।
উল্লেখ্য, প্রকল্প এলাকার অন্তর্ভুক্ত ২৭টি জেলার ১২৮টি উপজেলার ১ হাজার ৮০টি ইউনিয়নে প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকারগণের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রাম আদালত কার্যকরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ