বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ভিটাবাড়ী লিখে নিয়ে মাকে মারপিট করলো ছেলে। ছেলের মারপিটে ক্ষত বিক্ষত শরীর নিয়ে মা হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের হাজরাডাঙ্গা ত্রিশঘর এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সুন্দরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত নুরুল আমিন এর ছেলে ও ফুলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান (দুদু) তার স্ত্রী মনি আকতারকে সাথে নিয়ে মা সানোয়ারা বেগমকে ভিটা বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য মারপিট শুরু করে। এ পর্যায়ে সানোয়ারা বেগম ছেলে হাত বাচাঁর জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী রেজাউল ইসলামের বাড়িতে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
তাৎক্ষনিক এলাকাবাসীরা সানোয়ারা বেগমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সানোয়ারা বেগম। দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. অজুর্ণ সাহা জানান, সানোয়ারা বেগমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসীরা আরো জানান, মিজানুর রহমান ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকবার তার মা সানোয়ার বেগমকে মারপিট করতো। ফুলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার তার ভাতিজী জামাই কৃষি শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান (দুদু) কে ওই বিদ্যালয়ে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারীতে কৃষি শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন। তাই তাকে বিভিন্ন ভাবে বাচাঁনোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। তাকে বিদ্যালয় থেকে ছুটি পর্যন্তও দিয়ে রেখেছেন। এ বিষয় তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি বিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। এদিকে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবু সিদ্দিক বলেন, শিক্ষক মিজানুর রহমানের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। শাস্তি না হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কি শিখবে।
সুন্দরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র রায় বলেন, ফুলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান (দুদু) যে কাজ করেছে তা মোটেও ঠিক করেনি। ছেলেটি আসলেই খারাপ। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।