Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রাথমিকে নারী শিক্ষকদের যোগ্যতা স্নাতক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম | আপডেট : ১২:৩০ এএম, ১০ এপ্রিল, ২০১৯

উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেই এতদিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে পারতেন নারী প্রার্থীরা। তবে নতুন বিধিমালা অনুযায়ী এখন পুরুষদের মতো নারীদেরও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে স্নাতক পাসের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। এমন বিধান রেখে আগের বিধিমালা সংশোধন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ জারি করেছে। বিধিমালায় বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বয়সসীমা হবে ২১ থেকে ৩০ বছর। আর যোগ্যতা হবে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। এতদিন সব প্রধান শিক্ষক ও পুরুষ সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে এই শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল। আগে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য ২৫ থেকে ৩৫ বছর এবং সহকারী শিক্ষক পদের জন্য ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করা যেত।
বিধিামালায় আরো বলা হয়েছে, সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী, ২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থী এবং অবশিষ্ট ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে। নির্ধারিত কোটার শিক্ষকদের মধ্যে প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে (মহিলা ৬০%, পোষ্য ২০% ও অবশিষ্ট পুরুষ ২০%) অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে বিজ্ঞান ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের দিয়ে ওই ২০ শতাংশ কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে তা পূরণ করা যাবে। প্রধান শিক্ষকের ৬৫ শতাংশ পদ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ৩৫ শতাংশ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। তবে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে তা পূরণ করা যাবে।
প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রদন্নোতি পাওয়ার ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কমপক্ষে সাত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে পদোন্নতির বিবেচনায় আসবেন। আর সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে আগের মতোই সরাসরি এবং পদোন্নতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা করেছিল সরকার। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, কেউকে কোনো পদে অ্যাডহক ভিত্তিতে আগেই নিয়োগ দেয়া হলে এবং ওই পদে তিনি অব্যাহতভাবে নিযুক্ত থাকলে তার জন্য প্রযোজ্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা শিথিল করা যাবে। বাংলাদেশের নাগরিক না হলে এবং বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন ব্যক্তিকে বিয়ে করলে বা বিয়ে করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলে তিনি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের যোগ্য হবেন না। এছাড়া শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও চূড়ান্ত নিয়োগের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং যথাযথ এজেন্সির তদন্তে চাকরিতে নিযুক্তির অনুপযুক্ত নন এমন প্রত্যয়ন পেতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিক্ষক নিয়োগে এখন নারী-পুরুষ সবার যোগ্যতাই স্নাতক করা হয়েছে। প্রাথমিকের শিক্ষকদের নিয়োগযোগ্যতা উন্নীত হওয়ায় তাদের বেতন গ্রেড উন্নীতকরণে কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে বেতন পান।



 

Show all comments
  • Miru Talukder ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৫৭ এএম says : 0
    প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক যত মেধাবী হবে, ছোট্ট শিশুদের বিকাশও তত সুন্দর হবে। তাই প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের এই সেক্টরে নিয়ে আসতে হবে, নিয়োগে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে, কোটা তুলে দিতে হবে। তবেই দেশ এগোবে।।।
    Total Reply(0) Reply
  • Anwar Hossain ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৫৮ এএম says : 0
    খুবই ভাল উদ্যোগ।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahinur Rahman Ripon ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৫৯ এএম says : 0
    ভালো সিদ্ধান্ত,আরো ভালো হতো যদি শিক্ষকতা পেশায় কোটা সম্পূর্ণভাবে লোপ করা যায়। কেননা যারা জাতি গঠনের কারিগর তারা কোটায় নিয়োগ পাবে তা কারো কাম্য হতে পারে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Julian Jawad Ahmad ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৫৯ এএম says : 0
    Right decision
    Total Reply(0) Reply
  • Rakibul Hasan ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ২:০০ এএম says : 0
    দীর্ঘদিন পর একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। এটা আরও আগে হলে ভালো হত,তারপরও কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ