রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
তালতলীতে কার্ডধারী ও রেকর্ডীয় জমিতে গুচ্ছগ্রাম গড়ার ষড়যন্ত্রে ২১টি পরিবার ভিটা ছাড়া হওয়ার ভয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছে। তালতলীর বড় নিশানবাড়িয়া মৌজায় কবিরাজপাড়া নদীর তীরবর্তী ওয়াবদার বাহির পাশের রেকর্ডীয় জমিতে গুচ্ছগ্রাম গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রে মূল হোতা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সুলতান ফরাজী ও ইউপি সদস্য মোসা. ময়না বেগম।
জানা গেছে, কবিরাজপাড়ার এই গুচ্ছগ্রামে ৫টি দাগে ৪ একর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ২ একর রিপন ও খেনখেনের নামে বন্দোবস্ত জমি এবং অপর ২ একর অংচমা মগনীর ওয়ারিশদের প্রাপ্ত। এই ৪ একর জমির ওপর ২১টি পরিবার দীর্ঘ ৫০-৬০ বছর ধরে পুকুর খনন করে, গাছপালা লাগিয়ে বসবাস করে আসছে, যারা ভূমিহীন হিসেবে সরকারের খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার আসায় আবেদন করে সরকারের কৃপা দৃষ্টির দিকে চেয়ে আছেন। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য নিজেদের হিন স্বার্থে এই জমির প্রস্তাব দিয়ে তাতে কোন ঘর-বাড়ি নেই মর্মে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর রিপোর্ট দাখিল করাতে সমর্থ হয়েছেন। অথচ এই ৫টি দাগ ছাড়া পার্শবর্তী অন্য দাগ রয়েছে যা সরকারের খাস এবং একাধীক গুচ্ছগ্রাম গড়ার উপযুক্ত জমি রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য এই নিষ্কন্টক খাস জমির প্রস্তাব না দিয়ে কার্ডধারী ও রেকর্ডীয় জমির প্রস্তাব দিয়ে ২১টি পরিবারকে ভিটা ছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছেন। তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, ঐ জমিতে কয়েকটি ঘর আছে, গুচ্ছগ্রামের ঘর তোলার পর তারা এখানে থাকবে।
ভূমিহীন মো. জাফর জানান, আমরা ২১টি পরিবার ৪০-৬০ বছর ধরে এই জমিতে বৌ-বাচ্চা নিয়ে বসবাস করছি। আমাদের আর কোন জমি নেই। ভূমিহীনরা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট এই ভূমিহীনদের উচ্ছেদ না করে পার্শবর্তী খালী জমিতে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।