গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ দ্বিতীয় দিনের মত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ক্লাস বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমি ভবনের ৪র্থ তলায় সিএসই বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন ও তদন্তের নামে টালবাহানার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরি থেকে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেয়।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের দুই ছাত্রী ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ মোঃ আক্কাস আলির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানী অভিযোগ করেন বেশ কয়েক মাস আগে।
কিন্তু, সে সময়ে অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় অতি সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর লেখালেখি হয় এবং এ বিষয়টি ভাইরাল হয়।
শিক্ষার্থীরাও ওই শিক্ষকের অপসারনের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রামে নামে। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গতকাল রবিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে তার বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া ছাড়াও ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি আগামী ৫ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
কিন্তু, এই তদন্ত কমিটিকে আইওয়াস হিসাবে উল্লেখ করে তা নিয়ম মাফিক করা ও অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ীভাবে অপসারনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে।