Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার আটক ৩

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদতা | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:১৩ পিএম

ময়নসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার আটক ৩ গঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পৌর সদরের রেলস্টেশন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় রোববার রাতে ৭জন কে আসামী করে গণধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ তিনজনকে আটক করে সোমবার সকালে জেল হাজতে প্রেরন করেছে।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও ধর্ষিতার মা জানায়, তার ৮ম শ্রেণির স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সন্তাদের নিয়ে তিনি ও তার স্বামী ঢাকায় বসবাস করেন। স্বামী ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালান। গত ২৬ মার্চ ভোরে ঢাকা থেকে ট্রেনে মেয়েটি একাই কিশোরগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে এসেছিল। শনিবার কিশোরগঞ্জ থেকে ট্রেনে ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার আটক ৩ গঞ্জের সাহেবনগর গ্রামের মজিবুর রহমানের পুত্র প্রেমিক মাহফজুর রহমানকে নিয়ে সোহাগী রেলস্টেশনে নামে। পরে মাহফুজের পরিবার তাদের গ্রহণ না করায় সন্ধ্যার পর তারা দু’জন ইজিবাইকে ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার আটক ৩ গঞ্জ রেলস্টেশনে আসে ঢাকা যাওয়ার জন্য। কিন্তু ঢাকার যাওয়ার কোনো ট্রেন না থাকায় ঈশ^রগঞ্জ স্টেশনে ঘুরাফেরার সময় চরনিখলা এলাকার মিন্টু মিয়ার পুত্র বখাটে সুজন ও তার সহযোগীরা স্কুল ছাত্রী ও মাহফুজকে স্টেশনের পাশে খাদ্য গুদামে নিয়ে যায়। সেখানে মাহফুজকে আটকে রেখে প্রথম দফায় কয়েকজন মিলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে মধ্যরাতে ওই ছাত্রীকে সুজনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে দ্বিতীয় দফায় সুজন,রনি,বাবুল,স্বপন,রুকন ও বাপ্পা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে প্রেমিক মাহফুজকেও ছাত্রীটিকে ধর্ষণে বাধ্য করে। রোববার ভোরে ছাত্রীটিকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে কাউকে কিছু না বলতে শাসিয়ে দেয়। বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসী আচ করতে পেরে প্রেমিক মাহফুজ ও স্কুল ছাত্রীকে আটক করে। এর মধ্যে এলাকার প্রভাবশালী পরিবারের মুখোশ খুলে যাওয়ার ভয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মাতাব্বরা এক শালীস দরবারের আয়োজন করে। বিষয়টি মিটমাট করতে না পারায় ধর্ষনের খবর থানা পর্যন্ত গড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ধামদী এলাকা থেকে ছাত্রটিকে উদ্ধার করে ও মাহফুজ কে থানায় নিয়ে আসে।
এ খবর ছাত্রীটির পরিবারের কাছে গেলে। ছাত্রীটির বাবা ও মা ঈশ্বরগঞ্জে আসেন। রোববার রাতে স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৭জনকে আসামী করে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। পরে থানা পুলিশ বাবুল মিয়া ও বাপ্পা নামের দুই যুবকে আটক করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেল সাকের হোসেন সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত ও মামলাটির তদন্ত কারী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন সরকার জানান, স্কুল ছাত্রীর উপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় গণধর্ষনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তিনজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ