Inqilab Logo

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দাম বেড়েছে চিনি, ছোলা ও মুরগির

প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্ট ঃ বাণিজ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা সত্তে¡ও রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ছোলা, ব্রয়লার মুরগি, চিনি, ডিম, কাঁচামরিচ ও রসুনের দাম। পাশাপাশি কয়েকটি সবজির। তবে পেঁয়াজের দাম সামান্য কমেছে। মাছ-মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। স¤প্রতি মতিঝিল এজিবি কলোনি, বাসাবো, মালিবাগ, শান্তিনগরসহ কয়েকটি বাজারে গিয়ে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহেও যা পাওয়া গিয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। এক মাস আগে এটির দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা প্রতি কেজি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানকে সামনে রেখে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সরবরাহ আরো কমে গিয়েছে। ফলে দাম বেড়েছে স্বাভাবিকভাবেই। তবে দেশি মুরগি আগের মতোই ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ডিমের দাম আবারো বেড়েছে। খামারের লাল ডিম হালিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৬ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৪ টাকা হালি দরে। এ ছাড়া দেশি মুরগির ডিম ৪০ থেকে ৪৪ টাকা এবং হাঁসের ডিমের দাম নেয়া হচ্ছে প্রতি হালি ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা। আগের চড়া দামেই অর্থাৎ ৪২০ থেকে ৪৪০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস এবং ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে খাসির মাংস বিক্রি হতে দেখা যায়। রমজানে ইফতারি মানেই ছোলা। আর এ কারণেই সারা বছর এই ছোলার কদর না থাকলেও রমজানে বেশ বেড়ে যায়। আর ব্যবসায়ীরাও দাম বাড়িয়ে পকেট ভরেন এ সময়। তবে অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় এবার ছোলার দামে উত্তাপ বেশি। এবারই প্রথম এটির দাম ১০০ টাকা অতিক্রম করেছে। গত মঙ্গলবার রমজানের আগে সার্বিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। সেই বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে ছোলার দাম কিছুটা বাড়তি। তবে দেশে চাহিদার চেয়ে মজুদ বেশি রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের একদিন পরেই ছোলার দাম ৯০ টাকা থেকে লাফ দিয়ে ১০০ টাকা ছুয়েছে। একইভাবে বৈঠকের পরদিন বুধবার দাম বাড়ে চিনির। এক সপ্তাহ আগেও যে চিনির দাম ছিল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬২ টাকা কেজি দরে। তবে আশার কথা হলো এ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম সামান্য কমেছে। যদিও রসুনের বাজার আগের মতোই চড়া রয়েছে। গতকাল দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৪৪ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে এটি বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে। এক কেজি আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম নেয়া হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। আমদানিকৃত রসুন আগের মতোই ২০০ থেকে ২৩০ টাকা প্রতি কেজি এবং দেশি রসুন ১০০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। চীনা আদার দাম নেয়া হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং দেশিটা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দাম বেড়েছে চিনি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ