পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান সরকার বাংলাদেশের রাজনীতিকে কবর দিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশকে রাজনীতিহীন করার এই চেষ্টা অনেক আগে শুরু হয়েছে। ২০০১ সালে জোটের সরকার যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসেছে, তারপর থেকেই এই চক্রান্ত শুরু হয়েছে। যারই ফলশ্রুতি হিসেবে আমরা ওয়ান-ইলেভেন দেখতে পেয়েছি। একারণে জরুরি অবস্থার সময় গঠিত সরকারের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেছিলেন- এই সরকার (১/১১ সরকার) আমাদের আন্দোলনের ফসল। গতকাল (শনিবার) দুপুরে পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনের কমরেড মনি সিং মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক কল্যাণ পার্টির চতুর্থ জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৮২ সালে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুস সাত্তার সাহেবকে ক্ষমতাচ্যুত করে যখন এরশাদ সাহেব সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে ক্ষমতা দখল করলেন তখন তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছেন, ‘উই আর নট আনহ্যাপী’। আমরা জানি যে বন্যবরাহ যদি কোনোক্রমে ফসলের ক্ষেতে ঢুকে পড়ে, সেই ক্ষেত ধ্বংস করে দিয়ে যায়। আজকে সেই ধরনের একটা বন্যবরাহ ঢুকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমাদের একাত্তর সালের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির বিরুদ্ধে একটা মামলাও মিথ্যা নয়। এটা কি মানুষ বিশ্বাস করবে? এই যে আমি, নজরুল ইসলাম খান ভাইসহ অনেকে বসে আছি। আমাদের বিরুদ্ধে সেদিন মামলা হয়েছে, ওই দিন আমরা ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) একটি মামলার শুনানিতে হাইকোর্টে ছিলাম। হাতিরঝিলে ঘটনাই ঘটেনি, অথচ মামলা! ওই মামলার রেশ ধরে গোটা বাংলাদেশের ৪ থেকে ৫ হাজার গায়েবী ও মিথ্যা মামলা হয়েছে। দেখা গেলো যে ওই মামলা দিয়েই নির্বাচন (৩০ ডিসেম্বর) জয় করে ফেলল।
নেতাকর্মীদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের অনেকের মধ্যে দেখি যে একটা হতাশার সুর আসে। কেন কী হয়েছে? এই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে গেছে, সেজন্য আমরা কি পরাজিত হয়েছি? কখনোই না। আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি, সমস্ত জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। সেই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা অবশ্যই অপ্রতিরোধ্য একটি আন্দোলন গড়ে তুলব। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দানব সরকারকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হব। ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ২০ দলীয় ঐক্যজোট ও ঐক্যফ্রন্ট, আমাদের মধ্যে কোথাও কোনোরকম সমস্যা নেই। আমরা এক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই লক্ষ্যের দিকে যাচ্ছি, যে লক্ষ্যের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারব।
বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হবে না অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, আমরা বার বার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গেছি, অনুরোধ করেছি। তাকে (খালেদা জিয়া) তার পছন্দমতো বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হোক। সেখানে তাকে পাঠায়নি। পিজি হাসপাতালে নিয়েছে। এটি সরকার নিয়ন্ত্রিত হাসপাতাল। সরকার যা চাইবে, সেভাবে পিজি হাসপাতালকে কাজ করতে হবে। সেখানে তার যে সুষ্ঠু চিকিৎসা হবে, সেটা আমরা মনে করি না।”
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত কল্যাণ পার্টির কাউন্সিলে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম দলের চেয়ারম্যান হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন। পরে তিনি দলের মহাসচিব হিসেবে এমএম আমিনুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে নুরুল কবির ভুঁইয়ার নাম ঘোষণা করেন।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিম সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এসময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা আজাদ মাহবুব, মোহাম্মদ ইলিয়াস, মতিউর রহমান, শাহিদুর রহমান তামান্না, সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রমূখ। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।