পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় তিন শ্রেণীর মানুষ জড়িত। লোভী মালিক, লোভী ডেভেলপার এবং রাজউকের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, পরিদর্শক, অথরাইজড অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই। অপরাধের চিহ্ন পাওয়ার পরও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) এর সভাপতি মশিউর রহমান খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রুবেল।
মন্ত্রী বলেন, সকলের জন্য প্লট, ফ্ল্যাটসহ বিভিন্নভাবে আবাসন নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করছি। কিন্তু নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত, পরিবেশসম্মত আবাসন আমরা এখনো গড়ে তুলতে পারিনি। আমাদের নতুন শহর ঝিলমিল, পূর্বাচল, উত্তরা ৩য় ফেজ-সেখানে আমরা ৪৫% জায়গা ফাঁকা রেখেছি, যেনো দুটি বাড়ির মাঝে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা থাকে, সেখানে যেনো পরিবেশ দূষণ না হয়, খেলার মাঠ রেখেছি, পার্ক রেখেছি, লেক খনন করছি, বাজার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থা এবং চিত্ত-বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুরনো ঢাকার অপরিকল্পিত ভবন রাতারাতি ভেঙ্গে নতুন কিছু করা সম্ভব হয়নি। আমরা সেখানে রি-ডেভেলপমেন্টের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা পুরনো বিল্ডিং ভেঙ্গে মানসম্মত, পরিবেশসম্মত, বিল্ডিং কোড মেনে নতুন বিল্ডিং করে দেব। যাতে পুরনো ঢাকায় জীবন ঝুঁকিপূর্ণ না থাকে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীরও নির্দেশনা রয়েছে। নতুন বিল্ডিং কোড আইন আগামী ২-১ সপ্তাহের মধ্যেই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, ২০০৭ সালে এফ এর টাওয়ারের অবৈধ অংশের রিপোর্ট আসার পরও রাজউক-এর চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। কেনো সেটা তারা করেননি অথবা পরবর্তী সময়ে কেনো এ বিষয়টি কারো দৃষ্টিগোচরে আসলো না, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য আমরা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।
মন্ত্রী বলেন, যে ভবনে শুধু অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই, তাদেরকে নির্ধারিত সময় দিয়ে বিল্ডিং কোড অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সম্পৃক্ত করতে বলা হবে। যে বিল্ডিং এ জরুরি বহিগর্মন পথ নেই তাদেরকে নির্ধারিত সময়ে তা করতে হবে। যে ভবনে গ্যারেজের জায়গায় স্থাপনা করা হয়েছে তাদেরকে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তা সরিয়ে ফেলতে হবে, যদি না করেন আমরা ব্যবস্থা নেব। যারা অনুমোদন ছাড়া ইমারত নির্মাণ করেছেন, তাদেরকে তা সরিয়ে নিতে হবে। মানসম্মত ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশনসহ সকলের অংশগ্রহণ করা দরকার। রাজউককে দেখতে হবে অনুমোদিত নকশার বাইরে কোনো বিল্ডিং নির্মিত হয়েছে কি না, তার কোনো ব্যত্যয় ঘটলো কিনা।
মন্ত্রী বলেন, যার এলাকায় অবৈধ ইমারত নির্মাণ হচ্ছে তিনিই দায়ী হবেন। বিল্ডিং-এর নম্বর দিয়ে পরিদর্শককে সাপ্তাহিক রিপোর্ট দিতে হবে। বেআইনী ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা অঙ্কুরেই আঘাত হানতে চাই। সেক্ষেত্রে আইনী বাধার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রায় তিন হাজারের বেশি উচ্ছেদ প্রক্রিয়া হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে। এজন্য বলেছি, সুনির্দিষ্টভাবে নোটিশ ইস্যু করতে হবে। গণনোটিশ ইস্যু করা যাবে না। যদি কেউ সুনির্দিষ্টভাবে ছাড়া নোটিশ ইস্যু করেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া, রাজউকে যোগ্য ও দক্ষ আইনজীবী নিয়োগের ব্যবস্থা নিয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।