পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, সারাদেশে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখনো দেয়া হচ্ছে।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের বাড়ি বরাদ্দ একটি চলমান প্রক্রিয়া। যুদ্ধাহত অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা নির্দিষ্ট কোনো পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দের জন্য আবেদন করলে প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী বিবেচনা করা হবে।
সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কেউ গৃহহীন থাকবে না। এ ঘোষণার আলোকে নিম্নআয়ের অসহায় মানুষের গৃহায়ণের জন্য জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে ঢাকার মিরপুরে ১১নং সেকশনে বস্তিবাসীদের জন্য ভাড়াভিত্তিক ৫৩৩টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ চলমান আছে। ২০২০ সালের প্রকল্পটি শেষ হবে।
এছাড়া জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের আওতায় অসহায় মানুষের জন্য বাসস্থান/ফ্ল্যাট তৈরির লক্ষ্যে দেশের চিহ্নিত তিনটি পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন (কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ) এলাকায় বাসস্থান উন্নয়নের একটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রকল্পটিতে পাঁচ হাজার ৭০০ ইউনিট বাসস্থান নির্মাণ/সংস্কার/সম্প্রসারণের সংস্থান রাখা হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৩১ মার্চ শেষ হবে।
তাছাড়া সরকারি অর্থায়নে ঢাকার মিরপুরে আলাদা দুটি প্রকল্পে বস্তিবাসী ও স্বল্পআয়ের মানুষের জন্য ভাড়াভিত্তিক আরও ১০ হাজার ৫৩০টি এবং চট্টগ্রাম জেলার বাঁকলিয়ায় দুই হাজার ৬৮৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল জেলার গৃহহীন মানুষের মাঝে স্বল্পখরচে ফ্ল্যাট ও প্লট বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা-উপজেলায় পরিকল্পিত আবাসন
রাজশাহী-৩ আসনের আয়েন উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, পুরো বাংলাদেশে পরিকল্পিত সুষ্ঠু আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ‘জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা-২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গ্রহণের উপযুক্ত ভূমি চিহ্নিত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৩ আসনের মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।