Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

হালদায় যেকোনো মুহূর্তে ডিম ছাড়তে পারে মা-মাছ

রেণু উৎপাদনে হ্যাচারি ও মাটির কুয়া প্রস্তুত

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে আসলাম পারভেজ | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

এশিয়ার প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার এখন মৌসুম। যে কোন মূহুর্তে মা মাছের ডিম দেওয়ার প্রত্যাশাকে সামনে রেখে প্রস্তুত রয়েছে ডিম আহরণকারীরা। মা মাছ ডিম ছাড়লে নদী থেকে আহরিত ডিম থেকে রেনু উৎপাদনের জন্য মাটির কুয়া ও হ্যাচারিগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে হ্যাচারিগুলো সংস্কার ও মেরামতের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমিন হালদার নদী পাড়ে সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত হ্যাচারিগুলোর সরেজমিনে দেখে এগুলো প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার সাথে সাথে এসব ডিম এনে হ্যাচারিতে রেনু উৎপাদন করা যায় এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। গড়দুয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় হালদা নদী থেকে সংগৃহীত ডিম হতে রেনু ফোটানোর জন্য মাছুয়াঘোনা হ্যাচারির সংস্কার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। হালদার পাড়ে হাটহাজারী অংশে মদুনাঘাট, মাছুয়াঘোনা, শাহ্ মাদারী ও গড়দুয়ারা নয়াহাট এলাকায় সরকার হালদা নদী থেকে সংগৃহীত ডিম থেকে রেনু উৎপাদনের জন্য চারটি হ্যাচারি প্রতিষ্ঠা করেন। এসব হ্যাচারিতে ডিম থেকে রেনু ফোটানোর আধুনিক ব্যাবস্থা রয়েছে। তার মধ্যে গড়দুয়ারা ইউনিয়নের হ্যাচারিটি হালদা নদীর ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে। বর্তমানে তিনটি হ্যাচারি রয়েছে।
ইতোমধ্যে ডিম সংগ্রহকারীরা হালদা নদীতে মা মাছের ডিমের জন্য প্রহর গুনছেন। পাশাপাশি হালদার মা মাছ অপেক্ষা করছে বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও বজ্রপাতের জন্য। বর্তমানে হালদার মা মাছ ডিম দেওয়ার ভরা মৌসুম, কিন্তু এ মৌসুমে ডিম না দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। ডিম সংগ্রহকারী মো. কামাল সওদাগর জানান ডিম ছাড়ার মৌসুম চলছে, বৃষ্টি ও বজ্রপাত হলে যে কোন মুহুর্তে মা মাছ নদীতে ডিম ছাড়তে পারে, তার জন্য তারা অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে ভরা মৌসুমে ডিম নাছাড়লেও হয়ত অসময়ে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে বলে মনে করছেন হালদার গবেষকরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ