Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ম্যাটসের মেডিসিন বিভাগের ছাত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

শিশু ধর্ষন ও হত্যা মামলায় জেলহাজতে অন্তরীণ ম্যাটস’র মেডিসিন বিভাগের ছাত্র মেহরাজ হোসেন তুষার জায়গা কেনা-বেচার বিরোধিতার জের ধরে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন তাঁর পরিবার।
গতকাল শনিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর চকবাজারে একটি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তুষারের পিতা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারার কৃষ্ণনগর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আলী আশরাফ এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কুমিল্লা শহরতলীর কনেকশতলা এলাকার আবদুল ওহাবের ছেলে পুলিশের সোর্স জামাল হোসেনের সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় সে তারই প্রতিবেশি প্রবাসী আবুল কালামের চার বছর বয়সী কন্যা নাবিলাকে ধর্ষন ও হত্যা মামলায় তার ছেলে তুষারকে ফাঁসিয়েছে। জামাল নিহত নাবিলার পিতার বন্ধু। অথচ নাবিলার পরিবারের পক্ষে দাদা হাজী আবদুল আজিজ কর্তৃক ঘটনার বিষয়ে সদর দক্ষিণ থানায় যে এজহার করা হয়েছিল তাতে কারো নাম ছিল না। কিন্তু ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে তুষারকে নগরীর কুচাইতলী এলাকার বি-বাড়িয়া ম্যাটস থেকে ক্লাশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে তুষারের পিতা আলী আশরাফ দাবি করেন গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর শিশু নাবিলার লাশ কৃষ্ণনগর গ্রামের যে নির্মানাধীন ভবনের কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় সেই ভবনের মালিক রাজমিস্ত্রী হাবিব ওরফে হাবু পুলিশ আটক করে পরদিন ছেড়ে দেয়। ছাড়া পাওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় হাবু ওমানে পাড়ি জমায়। আর ঘটনার দেড়মাস পর তার ছেলেকে ডিবি পুলিশ আটক করে জোর পূর্বক স্বীকারোক্তি নিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠায়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১এপ্রিল দুর্বৃত্তরা তার বসত ঘরেও আগুন দেয়। আগুনের ঘটনায় নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিষপত্র পুড়ে যায়। তিনি শিশু নাবিলা হত্যা ও ধর্ষনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের বিচার এবং তার নির্দোষ সন্তানের মুক্তি দাবি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ