Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সবজির দাম স্থিতিশীল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে ইলিশ মাছের দাম। বাজারে এক কেজির কিছু বেশি ওজনের একটি তাজা ইলিশের দাম বিক্রেতারা আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা হাঁকছেন, যা সপ্তাহখানেক আগেও দেড় হাজার টাকার কাছাকাছি ছিল।
অন্যদিকে গত সপ্তাহ থেকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে সবজি। কারণ গত দুই সপ্তাহ ধরে সবজির দাম একই রকম রয়েছে। নতুন করে বাড়েনি কোনো সবজিরই দাম। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মাছ ও গোশতের দাম মানুষকে অস্বস্তি দিচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের চাহিদা বাড়ে। বাজার ধরতে ব্যবসায়ীরা হিমাগারে ইলিশ রেখে দেন। এ সময় জাটকা ধরা ঠেকাতে নদীতে অভিযান চালায় স্থানীয় প্রশাসন। ফলে দাম বেড়ে যায়। অবশ্য ইলিশ সম্পদ রক্ষার জন্য কয়েক বছর ধরে পয়লা বৈশাখে মাছটি না কেনার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা প্রচার চলছে। বাজার ঘুরে গতকাল দেখা যায়, কেজিতে তিনটি হবে, এমন আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০-৭৫০ টাকায়। আকারে একটু বড় হলেই দাম অনেক বেশি। একেকটি ৮০০ গ্রাম ওজনের এক হালি তাজা ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে চার হাজার টাকার বেশি। তবে হিমাগারের হলে সেটা সাড়ে ৩ হাজার টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। দরকষাকষি করলে কিছুটা কমে কেনা যায়।
কারওয়ান বাজারের ‘মা-বাবার দোয়া’ নামের একটি মাছের দোকানের বিক্রেতা মো. সুমন বলেন, হিমাগারে কিছুদিন আগে রাখা হয়েছে, এমন বড় ইলিশের প্রতি কেজির দর দেড় হাজার টাকার মতো। একই মাছ হিমাগারের না হলে দর তিন হাজার টাকা। তিনি বলেন, গত দুই দিনে দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।
এই বাজারের ক্রেতা সাজিদুর রহমান বলেন, দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে আমাদের মতো চাকরিজীবীদের আর কেনার সুযোগ নেই।’ তিনি জানান, বৈশাখ নয়, সন্তানেরা পছন্দ করে বলে তিনি ইলিশ কেনেন।
এদিকে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি ৫ টাকা কমে ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও হাঁসের ডিমের ডজন এখনো ১৫০ টাকা। আর দেশি মুরগির ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৮০ টাকা।
অন্যদিকে বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। যা গত মাসে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছ ছাড়া কোনো মাছ ২০০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না। মাছ ও মাংসের এমন চড়া দামে বিপাকে পড়ছেন নি¤œ আয়ের মানুষগুলো।
চড়া দামে বিক্রি হওয়া সবজির দাম এ সপ্তাহে অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে নতুন আসা সবজি বরবটির বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। পটল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৭০ টাকায়। ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি। শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, লাউ ৭০ থেকে ৮০ টাকা পিস, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস, ধুন্দুল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি।
তুলনামূলক একটু কম দামে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, পাকা টমেটো, শসা ও গাজর। পেঁপে আগের মতোই ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, গাজর পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় রয়েছে দেশি পেঁয়াজ। বাজারভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ আগের মতোই ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে চাল ও অন্যান্য মুদি পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি নাজিরশাইল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মিনিকেট চাল ৫৫ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮ নম্বর ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারে প্রতিকেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা। খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৮৮০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। কক মুরগির দাম অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে কেজি ৩০০ টাকায় পৌঁছে গেছে। এখন বাজারভেদে কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সবজি

৪ এপ্রিল, ২০২২
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২৯ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ