Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে ফায়ারম্যান সোহেল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাÐে উদ্ধার কাজের সময় আহত ফায়ারম্যান সোহেল রানাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। এর আগে সিএমএইচ হাসপাতাল থেকে তাকে বিমানবন্দর নেওয়া হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে সোহেল রানা রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস ও আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধণ বলেন, সোহেল রানার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে। আজ (গতকাল) রাতেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়।
গতকাল রাতে ফায়ার সার্ভিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় বনানী এফ আর টাওয়ারের অগ্নিনির্বাপণকালে গুরুতর আহত কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাকে দেখাশোনার জন্য ফতুল্লা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রায়হানুল আশরাফ তার সঙ্গে রয়েছেন। তার সুস্থতার জন্য সকলের কাজে দোয়া চাওয়া হয়। আইএসপিআর এর পরিচালক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ বলেন, আহত সোহেল রানাকে সন্ধ্যার আগে হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, পাসপোর্ট সংক্রান্ত একটা জটিলতা ছিল। সেটার সমাধান হয়ে গেছে। এদিকে সোহেল রানার পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোহেল এখনও সংজ্ঞাহীন। এরই মধ্যে তাকে ২১ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। আরও রক্ত দেওয়া প্রয়োজন। তবে সেই রক্ত তার শরীর নিতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারের আগুন নেভাতে ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছিলেন কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানা। সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার বজলুর রশীদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বজলুর রশীদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেই বড় স্বয়ংক্রিয় মই (লেডার) দিয়ে ভবনে পানি দিচ্ছিলাম। লেডারে করে আটকে পড়া ব্যক্তিদের নামিয়ে আনছিলাম। সোহেল রানা একটি লেডারে ছিল। একটি লেডারে সর্বোচ্চ চার থেকে ছয় জন লোক ধরে। এর বেশি আনা যায় না। সোহেল রানা এবং আরও দুজন ফায়ারম্যান একটি লেডার নিয়ে আটকে পড়া কয়েকজনকে উদ্ধার করে। কিন্তু লেডারে জায়গা হচ্ছিল না। আটকে পড়াদের জায়গা করে দিতে সোহেল রানা লেডারের সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসছিল। কিন্তু লেডারটি যখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিচের দিকে নেমে আসছিল, তখনই হঠাৎ করে সোহেলের পা মইয়ের ভেতরে আটকে গিয়ে ভেঙে কয়েক ভাগ হয়ে যায়। একই সময়ে চাপ লেগে তার পেটও ছিদ্র হয়ে পেটের নাড়ি ছিদ্র হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রানাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার পায়ে জোড়া লাগানো হয়েছে। পেটের অপারেশনও সফল হয়েছে। তবে এখনও পুরো শঙ্কামুক্ত না। চিকিৎসকরা বলেছেন, সোহেল রানার শারীরিক উন্নতি হয়েছে। তবে সময় লাগবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ