বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টঙ্গীতে ছাত্রলীগকর্মী প্রিন্স মাহমুদ নাহিদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিন রাফিসহ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। বৃহস্পতিবার রাতে টঙ্গী ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অন্য আসামিরা হচ্ছে- সাদ্দাম হোসেন (১৯) ও মো. আহাদুল ইসলাম রনি (২০)।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামাল উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রিন্স মাহমুদ নাহিদ ও প্রধান আসামি রাফি তারা এক সময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল এবং একই গ্রæপের সদস্য ছিলেন। প্রায় দুই বছর আগে জনৈক এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরেই উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় টঙ্গী থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। পরে গত ১ মার্চ নাহিদ বিকালে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ভরান মুন্সীপাড়া রোডে তার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার সময় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তার ঘনিষ্ঠ ছোট ভাই রিফাতকে রাফির গ্রæপের লোকজন মারধর করেন। এসময় প্রিন্স মাহমুদ নাহিদ সন্ধ্যা ৭টার দিকে রিফাতকে তার বাড়িতে দেখতে যান এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রিফাতের বাড়ি থেকে বের হলে পূর্বশত্রæতার জের ধরে রাফির নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রæপ তার পথগতিরোধ করে এবং মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে রাফির নির্দেশে গ্রেফতারকৃত আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন (১৯) নাহিদকে তার হাতে থাকা সুইচ গিয়ার (চাকু) দিয়ে বুকের ডান পাশে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
স্থানীয়রা নাহিদকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার সময় তার অবস্থা অবনতি ঘটলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার একদিন পর টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।