Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধামরাইয়ে যাত্রীছাউনি থেকেও নেই

ধামরাই (ঢাক) থেকে আনিস উর রহমান স্বপন | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীদের জন্য মহাসড়কে দুপাশে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে যাত্রীছাউনি নির্মান করা হয়েছে। অথচ ঢাকা আরিচা মহাসড়কে ধামরাইয়ে বেশিরভাগ যাত্রী ছাউনীগুলোর সামনে যাত্রীবাহি পরিবহন না থামার কারনেই তা যথাযথ ব্যবহৃত হচ্ছে না। নিয়মের কোন তোয়াক্কা করছে না পরিবহনের চালকরা। যাত্রীবাহি বাস ও লেগুনার চালকরা তাদের সুবিধামত সুবিধাজনক স্থানে থামিয়ে যাত্রী উঠা নামা করিয়ে চলে যায়। ফলে বেশিরভাগ যাত্রী ছাউনীগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে

গতকাল দেখা যায়, উপজেলার ইসলামপুর থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ২০কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কের দুপাশে ছোট-বড় ৯ টি বাস ষ্ট্যান্ড আছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ইসলামপুর বাসষ্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনীর সামনে যাত্রীবাহি পরিবহনগুলি থামিনে যাত্রী উঠানো নামানো করে। এরপরেই থানা রোড বাসষ্ট্যান্ড এখানে কোন যাত্রীছাউনিই নেই। শুধু তাই নয় স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রোদ বা বৃষ্টির থেকে রক্ষার জন্য একটু দাঁড়ানো নির্দিষ্ট যায়গা পর্যন্ত নেই। পরেই ঢুলিভিটা বাসষ্ট্যান্ড এখানে ঢাকা যাওয়ার দিকে কোন যাত্রীছাউনি নেই কিন্তু আরিচার দিকে যাওয়ার যদিও একটি ছাওনী আছে তাও পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এখানে কোন সময়ই যাত্রীবাহি পরিবহন বা বাস থামে না। জয়পুরা ষ্ট্যান্ডে কোন পাশেই যাত্রীছাউনি নেই খেলাল খুশিমত যাত্রী উঠানামা করে। একই অবস্থা কালামপুর ষ্ট্যান্ডে এখানে ও কোন ছাওনী নেই। এর পরের ষ্ট্যান্ড সূতিপাড়া এখানে ঢাকার দিকে যাওয়ার একটি ছাউনি থাকলে ও বাস নামে অনেক সামনে। অপরদিকে শ্রীরাপুর বাসষ্ট্যান্ডে ২পাশে দুইটি ছাউনী থাকলেও কোনটিতেই বাস থামে না। বাথুলীতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাসষ্ট্যান্ড থাকলেও এখানে কোন ছাউনীই নেই। সর্বশেষ বারবাড়িয়া বাসষ্ট্যান্ড এখানে দুপাশেই ছাউনী রয়েছে। আরিচা দিকে যাওয়ার মুখী ছাউনীটি কিছুটা ব্যবহৃত হলেও ঢাকার দিকে যাওয়ার ছাউনী একেবারেই অলস হয়ে পড়ে আছে যাত্রী বাস গুলি না থামার কারনে। শুধু যাত্রীছাউনিই নয় রাস্তা পাড়াপাড়ের জন্য মহাসড়কে কোন জেব্রা ক্রসিং পর্যন্ত নেই। দেখা গেছে, সাভার ও মানিকগঞ্জের গোলড়া হাই ওয়ে পুলিশ প্রতিনিয়ত এ মহাসড়কে টহল দিলেও পরিবহন গুলিতে যাত্রী উঠা নামার ব্যাপারে কোর নজরই রাখছেনা। কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বাস যেখানে থামবে আমাদের বাধ্য হয়ে সেখানে যেতে হয় তাছাড়া আমরা বাসে উঠতে পারবো না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ