বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা : ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে ঝালকাঠিতে ভারী বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার ৪টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এসব এলাকার ৫ হাজারেরও বেশি পরিবার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রচ- ঝড়ো হাওয়া শুরু হওয়ায় জেলার চার উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ঝড়ো বাতাসে চার উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ১০টি ঘর বিধ্বস্ত এবং বেশকিছু গাছপালা উপরে পড়েছে বলে কন্ট্রোলরুম থেকে জানিয়েছে। দুদিন ধরে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের রগুয়ারচর এলাকায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে আমুয়া, চিংড়াখালী, মশাবুনিয়া, পাটিখালঘাটা ও আওরাবুনিয়ার ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাজাপুরের বড়ইয়া ও বাদুরতলা ইউনিয়নের বিষখালী নদীতীরের অনেক গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ঝালকাঠির জেলায় ৫টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। ৪০টি মেডিকেল টিম স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। ১১০০ স্বেচ্ছাসেবী কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, জেলার সব ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা এবং পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য শুকনা খাবার চাল এবং নগদ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।