পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সবাইকে রাজনীতি বা দল করতে হবে তেমনটি নাও হতে পারে। তবে সবাইকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, ভালো শিক্ষক-গবেষক বা ভালো ছাত্র হলেই কেবল চলবে না, ভালো-মন্দ বোঝার জন্য রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে হবে। কোন অপরাজনীতি দেশের জন্য ক্ষতিকর, সেটাও বুঝতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীন দেশে জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি ঠাঁই পাবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত শিক্ষামেলা উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি শিক্ষামেলার মাধ্যমে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের গবেষণা উদ্ভাবনা প্রদর্শন শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণের জানার সুযোগ হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করে এ উদ্যোগের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার উচ্চশিক্ষাসহ শিক্ষার সবস্তরে গুণগতমান অর্জনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। একইসঙ্গে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার এবং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গবেষণা ও উদ্ভাবনে জোর দেওয়া হচ্ছে, যাতে করে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় আমরা টিকে থাকতে পারি।
তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের এবং বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি, পরিবেশ, প্রতিবেশ, টেকসাই উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক, নগর ও গ্রামভিত্তিক গবেষণা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক গবেষণা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, ইতিহাস-ঐতিহ্যভিত্তিক গবেষণা এবং চারু ও কারুকলার ওপরও গবেষণা পরিচালিত করছে। যার ইতিবাচক প্রভাব এতদাঞ্চলের নগর থেকে গ্রামের সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়নে বিশেষভাবে প্রভাব রাখছে।
‘জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে, টেকসই উন্নয়নের সহায়তায় এবং সরকারের এসডিজি অর্জনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে কয়েকশ’ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর মধ্যে আন্তর্জাতিকমানের গবেষণাও পরিচালিত হচ্ছে, কয়েকটি নতুন উদ্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এসব গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে প্যাটেন্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এসব সাফল্য নিঃসন্দেহে দেশ ও জাতির জন্য আশাব্যঞ্জক।’
দীপু মনি বলেন, আসলে শিক্ষামেলার মাধ্যমে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষা ও গবেষণার ফলাফল সর্বজনসমক্ষে প্রদর্শন করার যে প্রচেষ্টা নিয়েছে এটা প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতার পরিচায়ক। বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান চর্চার পীঠস্থান হিসেবে তার সব গবেষণা ও উদ্ভাবনা উন্মুক্ত করবে, তুলে ধরবে, অবারিত করবে, এটাই স্বাভাবিক। জাতির মনন গঠনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনে, জাতিকে দিক-নির্দেশনা প্রদানে এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে উন্নত দেশ ও জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব অপরিসীম। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিশেষ করে একটি একাডেমিক ভবন ও দু’টি আবাসিক হল নির্মাণের ব্যাপারে উপাচার্যের উত্থাপিত প্রস্তাব প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশ পরিচালনার ভার যখন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুরের কন্যা শেখ হাসিনা নিয়েছেন তখন শিক্ষাক্ষেত্রে তো বটেই কোনো ক্ষেত্রেই অপূর্ণতা থাকবে না। তবে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতার অর্জনের ওপর জোর দেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. সারওয়ার জাহান। এসময় মঞ্চে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. এম শাহ নওয়াজ আলী, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়াসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মেলায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষ, মাস্টার্স ও পিএইচডির শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণার বিষয়বস্তু ৩০টি স্টলে পোস্টারের মাধ্যমে প্রদর্শন করে। প্রধান অতিথি ও অতিথিরা এর আগে মেলায় প্রবেশ করে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন এবং মেলার স্টল ঘুরে দেখেন। মেলায় সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও উৎসুক দর্শকের সমাগম ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।