বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
বিদায়ী বছরে অনেক স্মৃতি, ঘটনা, দুর্ঘটনা, উন্নতি, কল্পনা, আশা, ভরসা আমাদের হৃদয়ে অফুরন্ত সম্ভাবনার কল্পনায় পরিপূর্ণ। নতুন বছরে নতুন আশা নিয়ে আমরা উন্নতির ধাপে ধাপ এগিয়ে যেতে চাই। আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই; আরও অনেক অনেক উন্নতি, সমৃদ্ধি নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের তরুণ সমাজ অত্যন্ত দৃঢ়চেতা, শক্তিশালী, কর্মঠ, মেধাবী এবং দেশপ্রেমিক। আমাদের এই তরুণ সমাজই আমাদের উন্নতির মূল শক্তি। আমাদের জনশক্তি দেশের বড় সম্পদ। তাই আজ বিদেশে গিয়ে আমাদের কর্মঠ জনশক্তি দেশে প্রেরণ করছে অগণিত অর্থ। সেই অর্থে আজ আমাদের রিজার্ভ আকর্ষণীয়, ঈর্ষনীয়। একদিন আমরা আমাদের জনশক্তিকে বোঝা মনে করতাম, এখন এই জনশক্তি সম্পদ। যদি আমাদের জনশক্তিকে শিক্ষিত, দক্ষ, কর্মঠ জাতি হিসেবে গড়তে পারি, তাহলে এই শক্তির নিকট সকল অপশক্তি মাথা নত করবে।
বিগত বছরের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমাদের অনেক পিছনের দিনের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে হয়। আমাদের ফিরে তাকাতে হয় ৪৪ বছর পূর্বের দিনগুলিতে। বিশ্ব ব্যাংকসহ সকলদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং পরবর্তী বাংলাদেশ প্রভৃতি নিয়ে পর্যালোচনা পর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতেই দেখত। কিন্তু বাংলাদেশ আর সে জায়গায় নেই। আমরা এগিয়েছি অনেকটা পথ। তাই আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক নিয়ে আলোচনা করতে হয় অনেককেই। আমরাও আমাদের উন্নতির দিক নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাপরবর্তী অর্থনীতির সূচক নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে।
অর্থনৈতিক উন্নতি আমাদের যেমন হয়েছে, সেই অনুযায়ী প্রশাসনিক উন্নতি আমাদের হয়নি। গণতন্ত্রের ভিত্তি আমাদের খুবই দুর্বল। রাষ্ট্রের মূল এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থনৈতিক মূল্যায়নে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। নাম সর্বস্ব আমাদের অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে কিন্তু বাস্তবে ফলপ্রসূ প্রতিষ্ঠান হতে পারেনি। তাই অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রের অন্যান্য সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে। দীর্ঘ ৪৪ বছরে অর্থনৈতিক উন্ননের সূচকের বেশ পরিবর্তন লক্ষণীয়। বিশ্ব ব্যাংকসহ সকল বিদেশি সংস্থাকে আমাদের মূল্যায়ন করতে গিয়ে বেশ ভালো ভালো মন্তব্য করতে হয়েছে। বাস্তবতায় আমাদেরকে ছোট করে দেখার সুযোগ এখন অনেক দেশের নেই বলা যায়। তাই গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থনৈতিক বিশ্লেষক বাংলাদেশ ভ্রমণে এসে বেশ সুন্দর সুন্দর, অনুপ্রেরণা মূলক মন্তব্য করতে বাধ্য হয়েছেন।
১৯৭২ সাল। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খাদ্য উৎপাদনও সন্তোষজনক অবস্থায় নেই। আর বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য করার অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। এমন একটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল এই বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মূল্যায়ন করে ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বব্যাংক দুই খ-ের একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা উঠে আসে ওই প্রতিবেদনে। তাতে বলা হয়, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ জটিল উন্নয়ন সমস্যায় পড়েছে। অর্থনীতিকে চাঙা করার জন্য চারটি পরামর্শ দেয় বিশ্বব্যাংক। সেগুলো হলো: কৃষি খাতকে কার্যকর আর্থিক ও অন্য প্রণোদনা-সহায়তা দেওয়া; শিল্প খাতের উৎপাদন বৃদ্ধিতে দক্ষ সরকারি ব্যবস্থাপনা তৈরি করা, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি ও পর্যাপ্ত আমদানি করে পণ্যের দাম কমানো এবং কর্মসংস্থান নির্ভর উন্নয়ন কর্মসূচি নেওয়া। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, তখন বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে খাওয়ানোটাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। তখন অন্যতম উদ্বেগ ছিল এ পরিস্থিতিতে দেশটি টিকে থাকবে কীভাবে? চালে এখন স্বয়ংসম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ। আমদানি অর্থায়নে উদ্বেগ নেই। তখনকার বাস্তবতা বিবেচনায় এগুলোই বাংলাদেশের বিশাল অর্জন।
সেই বাংলাদেশ : বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, ১৯৭২ সালে এক মার্কিন ডলারে ৭ টাকা ২৮ পয়সা পাওয়া যেত। বেকারত্বের হার ছিল ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। দুর্বল যোগাযোগব্যবস্থার উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, ঢাকা থেকে কুমিল্লার দূরত্ব মাত্র ৬০ মাইল হলেও তিনটি ফেরি পার হয়ে যেতে চার ঘণ্টা লাগত। তৎকালীন সরকারকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। প্রথমত, উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসন এবং প্রথম ফসল ওঠার আগ পর্যন্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা; দ্বিতীয়ত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা; তৃতীয়ত, বিধ্বস্ত যোগাযোগব্যবস্থার মধ্যেও খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং চতুর্থত, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। বহির্বাণিজ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে লেনদেনের অভিজ্ঞতা না থাকায় ১৯৭২ সালে নতুন করে সমস্যায় পড়ে দেশের অর্থনীতি। স্বাধীনতার আগে সিংহভাগ বাণিজ্যই পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানের হতো। ওই সময়ে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার সংকটও ছিল। দেশের ভেতরে মুদ্রার সরবরাহও কম ছিল। এর কারণ হিসেবে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, পুরো ষাটের দশকজুড়েই পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মুদ্রা গেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ মুদ্রা পশ্চিম পাকিস্তানে চলে গেছে বলে ধারণা করা হয়। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বাধীনতার পর প্রথম ছয় মাস কঠোরভাবে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে সুসংহত বৈদেশিক মুদ্রার মজুত গড়তে চেয়েছিল। এ জন্য অনুদানের খাদ্যশস্য পাওয়াকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল।
যেমন দেখতে চাই ২০১৬ সালকে : ১. আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতি অনেক ঘটেছে। শূন্য থেকে শুরু করতে হলেও আজ আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। কিন্তু বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা আমরা সঠিকভাবে করতে পারছি না। দেশে অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশের ফলে দীর্ঘ ৪৪ বছরে অনেক বার গণতন্ত্র হোচট খেয়েছে। স্বৈরশাসন ও গণতান্ত্রিক স্বৈরশাসন আমাদের অগ্রগতিকে বারবার বাধাগ্রস্ত করছে। তাই আগামীতে আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রের বিকাশের স্বার্থে সকল দলের অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন প্রত্যাশা করি। স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও সকল দলের অংশগ্রহণমূলক একটি জাতীয় নির্বাচনে দেশি-বিদেশি সকল মহলের জোরালো দাবি রয়েছে। চলতি বছরের প্রথমভাগেই সরকার বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেবেন বলে আশা রাখি।
২. নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। কিন্তু সত্যিকার অর্থে সরকারের নির্দেশনা ব্যতীত এর পথ চলার শক্তি নেই। কারণ প্রকৃত অর্থে স্বাধীন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন আজও আমরা গঠন করত পারিনি। তাই সকল দলের প্রতি ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। ব্যক্তি থেকে শুরু করে পুরো নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজাতে হবে। ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে, ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের মতো একটি কমিশন বাংলাদেশে গঠন ও পরিচালনা করা দরকার। এ বছর জাতি সেইটুকু অন্তত আশা করে।
৩. আমাদের স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন রয়েছে। তাও কাগুজে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন; যা প্রকৃত অর্থে সরকারের নির্দেশনা কার্যকর করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কিছু নয়। এই কমিশনকে নতুন করে সাজাতে হবে। এই কমিশনের আইনগত দিকগুলোকে ক্ষতিয়ে দেখতে হবে এবং নতুন করে তার মূল্যায়ন করতে হবে। প্রকৃত পক্ষে দেশের দুর্নীতি দূর করার জন্য কমিশনকে ক্ষমতা, স্বাধীনতা ও আইনগত সুরক্ষা দিয়ে পুনর্গঠন করতে হবে। তা না হলে দেশে দুর্নীতি দমন, হ্রাস, বন্ধ কোনটাই করা সম্ভব হবে না।
৪. বিচার বিভাগ আজ স্বাধীন। কিন্তু জনগণ কি সেই স্বাধীন বিচার বিভাগ থেকে আইনের সুরক্ষা পাচ্ছে? সাধারণ মানুষের জন্য কি বিচার ব্যবস্থা কাজ করতে পারছে? যতক্ষণ পর্যন্ত বিচার বিভাগ প্রকৃত অর্থে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও দেশের স্বার্থে কাজ না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ প্রকৃত অর্থে উপকৃত হতে পারবে না। আমাদের বিচার বিভাগের নিম্নস্তর থেকে উচ্চ স্তর পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন আদেশের উপর নির্ভরশীল। এই অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। সৎ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিগণ যতক্ষণ পর্যন্ত বিচারকের আসনে না আসতে পারবেন ততক্ষণ পর্যন্ত বিচার বিভাগের সত্যিকার স্বাধীনতা নিশ্চিত হতে পারবে না। নতুন বছরে জাতি বিচার বিভাগ থেকে জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি, উদার ও সততার দৃষ্টিভঙ্গি সম্মিলিত আচরণের আশা করে।
৫. পাবলিক সার্ভিস কমিশন দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে দৃশ্যমান হচ্ছে না। এই প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণরূপে সরকারের কর্তৃত্বের চারিত্রিক আচরণ দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত পাবলিক সার্ভিস কমিশন স্বাধীন, নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত দক্ষ, নিরপেক্ষ, যোগ্য ব্যক্তি রাষ্ট্রের মূল ধারায় আসতে পারবে না; তাই ততক্ষণ পর্যন্ত স্বচ্ছ, সৎ, নিরপেক্ষ একটি জনপ্রশাসন কায়েম করা যাবে না। স্বাধীনতার ৪৪ বছর অতিক্রম করলে মনে হয়, এই ক্ষেত্রে আমরা এখনও শিশু। মান, যোগ্যতা এবং সব বিচার করলে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের গুণগত উন্নতি চোখে পড়ার মতো হয়নি।
৬. অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য প্রয়োজন দেশি-বিদেশি পর্যাপ্ত বিনিয়োগ। বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হলে বিনিয়োগের পরিবেশ থাকা জরুরি। বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হলে জনগণের মধ্যে দেশে বিনিয়োগ করার জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, গ্যাস-বিদ্যুতে চাহিদা পূরণ, ব্যাংকের সুদের হার নিম্নে নামিয়ে আনা, আইনের শাসন কায়েম, ঘুষ দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ তৈরি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অক্ষুণœ রাখা অপরিহার্য।
৭. মাদক, নেশা দ্রব্য আজ আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস করে ফেলছে। এখন শহর নয়, গ্রামে গঞ্জে অলিতে গলিতে মাদক ছড়িয়ে পড়েছে। স্কুরের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল স্তরে মাদক গ্রাস করে ফেলেছে। আমাদের সকল অর্জনকে মাদক গ্রাস করে ফেলছে। আমাদের তরুণ সমাজ মাদকে ভয়ানকভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সরকার মাদককে নির্মূল, হ্রাস ও মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। মাদক নামক এই ভয়াবহ ব্যধি আমাদের বিবেক, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করে ফেলছে। এই অবস্থার পরিবর্তন আজ খুবই জরুরি অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মাদকমুক্ত সমাজ তৈরি অপরিহার্য। অর্থ, বিত্ত যতই আমাদের থাকুক না কেন, মাদক, নেশা থেকে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করতে না পারলে আমাদের সকল অর্জন ব্যর্থ হয়ে পড়বে। চলতি বছর তথা ২০১৬ সালে আমরা নব জীবনের সুন্দর রঙিন আলোর ঝলকানি দেখতে চাই।
লেখক : সাবেক সহ সভাপতি, এফবিসিসিআই, বিটিএমএ, বিজেএমইএ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।