Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে রোয়ানু’র ছোবল : জলোচ্ছ্বাস কয়েকটি এলাকায়

প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাত হেনেছে চট্টগ্রামে। বেলা বারটায় এটি চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানে। চট্টগ্রাম বন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। রোয়ানুর প্রভাবে কয়েকটি উপজেলায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ও বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলের জমি, ক্ষেত-খামার ও বসতবাড়ি। জেলার সন্দ্বীপ, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও সীতাকুন্ডের কয়েকটি ইউনিয়নে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। উপকূলীয় উপজেলাগুলোর মধ্যে অধিকাংশ এলাকার বাসিন্দারা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। সন্দ্বীপে সওদাগর হাট এলাকার কাছে বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে পড়েছে। ঝড়ে কিছু কাঁচা ঘর বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। সব দোকানপাট বন্ধ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েকটি স্থানে বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। বালির বস্তা দিয়ে সেসব মেরামতের চেষ্টা চলছে। সাগর তীরের সব এলাকা থেকে স্থানীয়রা আশ্রয় কেন্দ্রে চলে এসেছে। এদিকে আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়ন দুটির সিংহভাগ জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে। আনোয়ারার ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বেলা ১২টার পর থেকে চারটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকতে শুরু করে। ইউনিয়ন দুটির বেশিরভাগ এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। আনোয়ারার স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, রায়পুরা ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের মূল সড়কে বেলা দুইটায় প্রায় দুই-থেকে তিন ফুট উচ্চতার পানি ছিল। শুরুতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকলেও পরে বেড়িবাঁধের ওপর দিয়েই পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আনোয়ারার এই দুই উপজেলার সবগুলো আশ্রয় কেন্দ্রে উপকূলীয় এলাকার মানুষ জন আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে শুকনো খাবারও বিতরণ করা হচ্ছে। বাঁশখালীর স্থানীয় সাংবাদিক ও বাসিন্দারা জানিয়েছেন, উপজেলার খানখানা বাদ এলাকায় সাগর থেকে জলোচ্ছাসের পানি প্রবেশ করেছে। সীতাকুন্ডের ইউএনও নাজমুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, উপজেলার কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করে পানি প্রবেশ করেছে। আমরা কাজ করছি। এদিকে সকাল ১১টা থেকে নগরীতে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরুকরে। সঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টিও হয়। নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়ায় কয়েকটি গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ আছে। এছাড়া বন্দরের জেটিগুলোতে থাকা সব জাহাজকে বহির্নোঙ্গরে পাঠানো হয়েছে। এদিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সব ধরণের কার্যক্রমও সকাল থেকে বন্ধ। সকাল ১০টার পর চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়া জাতকরণ এলাকা (সিইপিজেড) ও কর্ণফুলী ইপিজেডের সব কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচল নেই বললেই চলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ