পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য জনগণকে নিয়ে আন্দোলনে নামার কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের সকলের পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া।
গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামতে হবে। কারণ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে কখনো কোনো আন্দোলন সফল হবে না। সেজন্য জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্যে সমস্ত কৌশল নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, কখনো অন্যায়ের কাছে ন্যায়ের পরাজয় হতে পারে না। যেটা হয় সেটা সাময়িক। অবশ্যই ন্যায়ের জয় হবেই, সত্যের জয় হবেই। এজন্য নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহŸান জানান তিনি। গতকাল (বুধবার) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার পথে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দেশে যে সংকট সেটা শুধু বিএনপির সংকট নয়। এই সংকট এতো গভীর সংকট যে, এটা জাতির সংকট, রাষ্ট্রের সংকট। কারণ এই রাষ্ট্র থেকে চিরতরে গণতন্ত্রকে বিসর্জন দেয়ার আয়োজন প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। এটাকে একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সমস্ত চক্রান্ত প্রায় সম্পন্ন, আয়োজন সম্পন্ন। এখন বাংলাদেশের মানুষ পুরোপুরি একটা আবদ্ধ কারাগারের মধ্যে রয়েছে।
বিএনপির পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অত্যন্ত সঠিকভাবেই অঙ্গসংগঠন এবং জেলাগুলোকে পুনর্গঠিত ও সক্রিয় করার কাজ শুরু করেছেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই এই সংগঠন আবার তার নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হবেই। অনেক ঝড়-ঝঞ্জ¦া গেছে, অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যেও বিএনপি উঠে দাঁড়িয়েছে। বার বার বিএনপিকে ভেঙে ফেলতে চেয়েছে, নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে কিন্তু বিএনপি সমস্ত বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে ঠিকই উঠে দাঁড়িয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করে, বিএনপি আবার উঠে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। তবে সেই মুক্তির জন্য আমাদেরকে সংগঠিত হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এগুতে হবে। তীব্র আন্দোলনে যেতে হবে।
সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মিডিয়া এখন নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া।
এখানে বিরোধী দলের খবর সবচেয়ে কম ছাপা হয়। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া কয়েক সেকেন্ড খবর দেয়। কারণ মিডিয়া হচ্ছে জনগণের কাছে পৌঁছানোর বড় মাধ্যম। সেই কারনে এই সরকারের অপচেষ্টা হচ্ছে জনগণকে বিভ্রান্ত করে, যারা জনগণের শক্তি নিয়ে এগুতে চায় তাদেরকে বিভ্রান্ত করা। তিনি বলেন, আজকে আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বিভিন্নভাবে। আমাদের যারা সত্যিকার অর্থেই ত্যাগী-লড়াকু সৈনিক তাদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের উচিত হবে, এসমস্ত বিভ্রান্তিতে না পড়ে, দল যাতে ঐক্যবদ্ধ থাকে যে কোনো লড়াইয়ে যেন অংশ নিতে পারে তার জন্য নিজেকে তৈরি করা। অতীতে আমরা দেখেছি, জনগণের শক্তির কাছে কোনো শক্তি জয়ী হতে পারেনি, এখনো সম্ভব নয়।
বিএনপি প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।