বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভায় গ্রুপের ১৫ জন আহত হয়েছেন এবং ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) বিকাল ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল ক্যাফেটোরিয়ার সামনে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়ানো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয় এবং সিএফসি গ্রুপ। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই হলে দুই গ্রুপের কর্মীরা অবস্থান নিয়ে থাকে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুুপুর ২ টার দিকে বিজয় গ্রুপের কর্মী আবুবক্কর শহীদ আব্দুর রব হলের মাঠে খেলতে গেলে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা তাকে বেদম মারধর করে। বিষয়টি বিজয় গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে জানাজানি হলে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে দেশিয় আস্ত্রসহ অবস্থান নেয় এবং সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা দেশিয় অস্ত্র ও হেলমেট পরে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের কর্মীরা কাঁচের বোতল এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় ইট এবং কাঁচের বোতলের আঘাতে উভয় গ্রুপের ১৫ জন কর্মী আহত হয়। তবে তাৎক্ষনিক আহতদের নাম জানা যায়নি। পরে পুলিশ দুই গ্রুপকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় ধারালো রামদাসহ ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
বিজয় গ্রুপের নেতা এস এম জাহেদুল আওয়াল বলেন, আমাদের এক কর্মীকে সিএফসির কিছু কর্মী বিনা কারণে রব হলের মাঠে মারধর করে। বিষয়টা আমাদের কর্মীরা জানতে পারলে তাদেরকে প্রতিহত করে।
সিএফসি গ্রুপের নেতা রেজাউল হক রুবেল বলেন, বিজয় গ্রুপের একজন নেতা এবং সিএফসি গ্রুপের একজন নেতা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে এ সংঘর্ষ বাধাচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।