Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পানিবদ্ধতায় যানবাহনের ভাড়া বেড়েছে দ্বিগুণ

সড়ক যেন ডোবা

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল, চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে: | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

অল্প বৃষ্টিতে কাদা নর্দমা, ভাঙা রাস্তায় পানি জমে শহরে চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। গত দু’দিনে প্রবল বর্ষণের কারণে কুমিল্লাজুড়ে পানিবদ্ধতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে পানি উঠে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে কুমিল্লাবাসী দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। ময়লা আর কাদায় কুমিল্লা শহরের সড়কগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। হাঁটা তো দূরের কথা, কোথাও কোথাও অবস্থা এমন যে যানবাহন নিয়েও যাওয়া যাচ্ছে না। শহরের বাণিজ্যিক এলাকা কান্দিরপাড় সড়কসহ বিভিন্ন এলাকা সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা পানিতে একাকার হয়ে গেছে। অল্প বৃষ্টিতেই পাকা সড়ক কাদা জমে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুলশিক্ষার্থী, অফিসগামী মানুষ ও পথচারীদের চলাচলে দেখা দিয়েছে মারাত্মক সমস্যা। এতে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানায়, কুমিল্লা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে গেছে। গর্ত সৃষ্টি হয়ে সড়কে পানি জমেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের কান্দিরপাড়, রেইসকোর্স, দক্ষিণ চর্থা সরকারি মহিলা কলেজ রোড, দক্ষিণ চর্থা ইপিজেড রোড, মনোহরপুর, জেনারেল হাসপাতাল রোড, টমছমব্রীজ ইবনে তাইমিয়া স্কুল রোড, উত্তর চর্থা, ঝাউতলা, বাদুরতলা, ঠাকুরপাড়া, নিউ হোস্টেলের সামনে গর্জনখোলা প্রতিটি সড়ক, চক বাজার থেকে রাজগঞ্জ হয়ে কান্দিরপাড়, শাসনগাছা পুরো সড়কটিই জরাজীর্ণ, হাউজিং এস্টেট, কাপ্তান বাজার রোড, ধর্মপুর ভিক্টোরিয়া কলেজ রোডসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার প্রতিটি রাস্তাঘাটই বড় বড় গর্ত হওয়ার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে কাদায় সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা জানান, কুমিল্লা শহরের বেশিরভাগ সড়কই সঠিক ভাবে সংস্কার কাজ হয় না। ফলে অনেক জায়গায় সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সরেজমিন দেখা যায়, শহরের বাণিজ্যিক কান্দিরপাড় এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তায় কাদায় আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। এদিকে ড্রেনের পানির সঙ্গে সড়কের পানি মিলিত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। লোকজন নানারকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শহরের ধর্মপুর পশ্চিম চৌমহনী এলাকার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, পানির নিচে সড়কের হাল বোঝার উপায় নেই। সে কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। আমি নিজেও দুর্ঘটনায় পড়েছি। সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেই। এ দিকে পানিবন্ধতা ও রাস্তা ভাঙার কারণে শহরে রিক্সা ও অটোরিক্সার ভাড়া বেড়ে গেছে দ্বিগুণ। পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে দুর্ভোগের দৃষ্টি হয়। মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, নালা পরিষ্কার না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে গেছে। নালা উপচে পানি সড়ক দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে। গলির ভেতর সড়কগুলোতে হাটার অবস্থা নেই। এ সুযোগে রিকশা চালকরাও অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে।
শহরের ক্রস কালভার্টের বিভিন্ন সার্ভিস সংস্থা পানি, গ্যাস, টেলিফোন এর একাধিক পাইপ থাকার কারণে বৃষ্টির সময় এই সকল পাইপে পলিথিন আটকিয়ে পানি নিষ্কাশনের বাধা প্রদান করে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি করে। শহর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ। সিটি কর্পোরেশন বাসিন্দাদের দাবি-বর্ষাকাল আসার আগেই কুমিল্লার সকল ড্রেনগুলোর পরিষ্কার ও সংস্কার করা হলে হয়তো পানিবদ্ধতা থেকে কিছু হলেও বন্ধ হবে। এ দিকে পানিবন্ধতা ও রাস্তা ভাঙার কারণে শহরে রিক্সা ও অটোরিক্সার ভাড়া বেড়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ