Inqilab Logo

শনিবার, ২৫ মে ২০২৪, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ মেরামতে ৭৮ কোটি টাকা অনুমোদন

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

২০০৯-১০ অর্থ বছরে ৮৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোদার বাজার থেকে শুরু করে বোতলা সুইচ গেট পর্যন্ত ২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার এলাকায় রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ (ফেজ-১) প্রকল্পের আওতায় পদ্মার তীর সংরক্ষণ কাজ করা হয়েছিল। যা সমাপ্ত হয় ২০১২ সালে। গত বছরের বন্যায় যার অন্তত ৯ শ’ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আসছে বর্ষার আগে ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজবাড়ী কার্যালয় থেকে একটি বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ৭৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাশ হয়েছে। মন্ত্রনালয় থেকে দেয়া হয়েছে টেন্ডার আহব্বানের অনুমতি। আসছে বর্ষার আগেই কাজ শুরু হবে। ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে শহর রক্ষা বাঁধ এমনটিই আশা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীর অব্যাহত ভাঙন রোধ এবং রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ সংরক্ষণের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে শুরু হয়েছে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ ফেইজ-২ নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ। রাজবাড়ী শহরের গোদার বাজার থেকে ২.৫ কি.মি. উজান এবং ৩ কি.মি. ভাটি এলাকা পর্যন্ত দীর্ঘ ৪.৫ কি.মি. এলাকা জুড়ে এ প্রকল্পের অবস্থান। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার হিসেবে সরকারিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন খুলনা শিপ ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষকে। রাজবাড়ি শহর রক্ষা বাঁধ ফেইজ-২ প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৩১ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে পদ্মা নদীর পূর্ব উড়াকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চারটি স্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দ্বারা মাটি কেটে বালুর বস্তা ফেলে ডাম্পিং-এর কাজ চলছে। কাজ করছে প্রায় দুই শত শ্রমিক।
এ সময় শ্রমিক কুদ্দুস খান জানান, কাজের গতি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এভাবে কাজ চলতে থাকলে আসছে বর্ষায় বাঁধের আর কোন ক্ষতি হবে না। আমরা এখন দিনরাত করে কাজ করছি। প্রতিদিন হাজার হাজার বস্তা ডাম্পিং করা হচ্ছে।
অপর এক শ্রমিক জানান, শহর রক্ষা বাঁধের কাজ দুই মাস আগেও কমছিলো মন্ত্রী সাহেব ঘুরে যাওয়ার পর এখন সবাই দিনরাত করে কাজ করছে। কয়েকটি ভাগে ভাগ করে দেয়ার কারনে সবাই মনোযোগ সহকারে কাজ করছে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কাজটি শুরুর পর থেকে কাজটি তদারকি করছে নৌবাহিনী সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাও দেখভাল করছে। কাজের গতি বৃদ্ধি করার জন্য পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ও পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব পরিদর্শন করেছে। কাজের বর্তমান যে গতি আছে এটিকে ধরে রাখতে পারলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হবে।


কালবৈশাখী ঝড়ে মাছ ধরার নৌকাডুবি : নিখোঁজ ১
গত রোববার সন্ধ্যার পর কাল বৈশাখী ঝড়ে রাজবাড়ির পদ্মা নদীর চর নারায়নপুর এলাকায় একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এখনও নিখোঁজ রয়েছে চর নারায়নপুর এলাকার মোচন শেখের ছেলে রশিদ শেখ।
মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোচন শেখ জানান, রোববার বিকেলে একটি ছোট নৌকা নিয়ে পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে যায় স্থানীয় আয়ুব শিকদার, মিজান ও রশিদ শেখ। ঝড়ে তাদের নৌকাটি ডুবে গেলে আয়ুব শিকদার, মিজান সাতরিয়ে পারে আসলে রশিদ শেখ আর ফিরে আসতে পারেনি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজবাড়ির সহকারী পরিচালক মো. শওকত আলী জোয়ার্দ্দার জানান, নৌকাডুবির খবর পেয়ে রাতে নদীতে অভিযান চালানো হয়। এতে অনেক খোঁজাখুজি করেও নিখোঁজ ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। গতকাল সোমবার সকাল থেকে স্থানীয়দের সাথে পুনরায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। তবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায় নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ