Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদারীপুরে অর্ধশত বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

খুনের ঘটনার জের

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

খুনের ঘটনার জের ধরে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ও কালিকাপুর ইউনিয়নে কমপক্ষে ৩০ কিশোরীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়াও মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজাজ আকনের বাড়িসহ কমপক্ষে ৫০টি বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাহেবালী মাতুব্বর নামে এক ব্যক্তিকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হামলা চালিয়ে খুন করে। ঘটনার পর কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আকনসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা হয়। মামলার পর থেকে সদর উপজেলার পাঁচখোলা ও কালিকাপুর ইউনিয়নের সহাস্রাধিক মানুষ মামলা হামলার ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এই সুযোগে প্রতিপক্ষের লোক জন দফায় দফায় হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট এবং বাড়ি ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার এবং পাঁচখোলা ইউনিয়নের আনন্দবাজার নামে দুটি বাজার ছিলো। খুনের ঘটনার পরে বাজার দুটি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বাজারে দোকারপাটের কোন অস্থিত্ব নেই। রাস্তার পারে দোকানের কয়েকটি খুটি দাড়িয়ে আছে। এই এলাকার নারী ও শিশুরা রয়েছে চরম আতঙ্কের মাঝে। বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় দুর্বৃত্তরা একাধিক কিশোরীকে পাশবিক নির্যাতনও করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এতে করে কমপক্ষে ৩০ কিশোরীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। লোকলজ্জা ভয়ে এবং পুলিশ প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে মামলাও করা হয়নি।
এদিকে সরেজমিন দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরসহ ২৫টি ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজাজ আকনের বাড়ি। এসময় কমপক্ষে ২৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
রিজিয়া বেগম নামে এক নারী বলেন, ওরা আমার বাড়ি ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার পরনের কাপড় ছাড়া এখন আর কিছুই নেই। যারা অপরাধ করেছে তাদের বিচার হোক। আমাদের বাড়ি ঘর কেন পোড়াবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্কুল ছাত্রী বলেন, আমরা স্কুলে গেলে আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। রাতে বেলায় আমার ভয়ে থাকি। ওরা এসে আমাদের ঘরের বাইরে নিয়ে খারাপ কাজ করে। অনেকে এখন স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। কেউ কেউ চলে গেছে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে। আমরা এর বিচার চাই।
মাদারীপুর সদর থানার এসআই শ্যামল বলেন, আমার চেষ্টা করছি দুই পক্ষকেই শান্ত রাখার। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভাঙচুর ও লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থরা চাইলে মামলা করতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের আইনগত সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ