বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ব্যাবসায়ী হত্যাকান্ডের ১০ মাস পর মূল রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফফতারকৃতরা হলেন, মোছা. শিউলী আক্তার ওরফে বিউটি আক্তার (২৫) ও মো. সাব্বির হোসেন (২৫)। গতকাল রোববার দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ জামান সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ওসি মোহাম্মদ শাহ জামান জানান, গত ৪ জুন ২০১৮ গভীর রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় নিজ বাড়ির একটি কক্ষে ব্যাবসায়ী মো. সাদ্দাম হোসেন তার স্ত্রী শিউলী আক্তারকে পরকীয়া প্রেমিক মো. সাব্বির হোসেনের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় সাদ্দাম হোসেন প্রেমিক সাব্বির হোসেনকে মারতে গেলে স্ত্রী শিউলী আক্তার ও প্রেমিক সাব্বির হোসেন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। কিন্তু স্ত্রী শিউলী আক্তার কৌশলে এই হত্যাকান্ডটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে এলাকায় প্রচার করে।
ঘটনার পরদিন নিহত সাদ্দামের সৎ ভাই মো. লিটন মিয়া (৫০) এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করলে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
গত ২৪ মার্চ ময়না তদন্তের রিপোর্টে সাদ্দাম হোসেনের হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেলে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। গত শুক্রবার রাতে শূভাঢ্যা ইউনিয়নের পারগেন্ডাারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহত সাদ্দামের স্ত্রী শিউলী ও তার পরকীয় প্রেমিক সাব্বিরকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেয়। নিহত সাদ্দাম হোসেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় মাছের আড়ৎদার ছিলেন। সে দুই সন্তানের জনক। তার বাবার নাম মো. সুলতান মিয়া। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার ষোলাপাড়া গ্রামে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।