Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনেই গণতন্ত্র ফেরাতে হবে

আলোচনা সভায় ড. কামাল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কথা বলেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, স্বৈরাচার থেকে মুক্ত হয়েছিলাম ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে। আজকেও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদেরকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জন করবো। গতকাল (রোববার) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কারাবন্দি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, আজকে সবাই বলেছেন যাদেরকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে তাদেরকে মুক্ত করা হোক। এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। সেই লক্ষ্যকে অর্জন করতে হলে আমাদের ঐক্যকে সুসংহত করতে হবে, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আপনারা দেখুন আমরা সব অসম্ভবকে সম্ভব করেছি। স্বাধীনতা যুদ্ধ বিজয়ী হয়েছি, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হয়েছি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যারা আজকে বাকশালের কথা নতুন করে ভাবছেন, মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন গত ৩০ ডিসেম্বরের প্রহসনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, বাংলাদেশকে একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করবার সমস্ত আয়োজন সমাপ্ত করেছেন তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। ভয় পায় এজন্য যে, তিনি যদি বাইরে বেরিয়ে আসেন বা বাইরে থাকেন তাহলে জনগণকে আর কখনই আটকিয়ে রাখা যাবে না, প্রতিরোধ বন্ধ করা যাবে না।
তিনি বলেন, সরকারের লোকজননের ঘুম নেই। আজকে তাদের এতো দুশ্চিন্তা বিএনপিকে নিয়ে বিএনপি নিয়েই সব সময় কথা বলছেন।। কেনো বিএনপি যদি কোনো ব্যর্থ না হয়ে থাকে, বিএনপি যদি আপনাদের সামনে কোনো প্রতিপক্ষই না-ই হয় তাহলে বিএনপিকে নিয়ে এতো কথা বলছেন কেনো? খালেদা জিয়াকে কারাগারে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) খুবই অসুস্থ। আজকে কিছুক্ষণ আগে আমি পিজি হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) খবর নিয়েছি। তার জন্য যে মেডিকেল বোর্ড করা হয়েছে সেই বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অবিলম্বে দেশনেত্রীকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা দরকার। তার চিকিৎসাটা অত্যন্ত বেশি প্রয়োজন হয়ে গেছে।
জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি এই সরকারের কোনো মায়া-মমতা নেই, তাদের দায়বদ্ধতা নেই। এরা দায়িত্বহীন। বাকশালের কথা বলছেন-এটা তো দলীয় শাসন। বেগম হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে আওয়ামী লীগ নামে কোনো দল ছিলো না এখানে। বঙ্গবন্ধু মারা গেছেন বাকশাল করার কারনে। আওয়ামী লীগ বাকশাল কইরা জনগণ থেকে শেখ মুজিবকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। আর শেখ হাসিনা ২৯ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির প্রসঙ্গ টেনে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। যদি মনের মধ্যে কোনো দ্বিধা থাকে, কারো যদি নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে হিসাব থাকে করে ফেলেন। নিজেদের মধ্যে কোনো ভুল বুঝাবুঝি যদি থাকে সেটা মিটিয়ে নেন। ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে যদি প্রশ্ন থাকে সেটারও নিষ্পত্তি করেন। কিন্তু আমাদের এক হয়ে নামতে হবে রাস্তায়। এজন্য ড. কামাল হোসেন আছেন, এই নেতারা আছেন। সবাইকে সাক্ষী রেখে আমি বলি, আমাদের কেউরই ঐক্যফ্রন্ট ছেড়ে যাওয়ার শক্তি নেই্, ঐক্যফ্রন্ট রাখতে হবে, একে শক্তিশালী করতে হবে। ঐক্যফ্রন্টকে নিয়েই রাস্তা কাঁপাতে হবে এবং শাসকের ভিত নাড়িয়ে দিতে হবে- এটাই লড়াই। এই লড়াইয়ের জন্য আমাদের শপথ নিতে হবে, যেরকম শপথ আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নিয়েছিলাম।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির আবদুল মঈন খান, আহসানুল্লাহ হাসান, নবী উল্লাহ নবী, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, রেজা কিবিরয়া, কাজী হাবিব, বিকল্পধারা‘র অধ্যাপক নুরুল আমিন, শাহ আহমেদ বাদল, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাবিবুর রহমান তালুকদার, ইকবাল সিদ্দিকী, গণদলের গোলাম মাওলা চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. কামাল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ