পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, জন্মলগ্ন থেকে দৈনিক ইনকিলাব প্রতিষ্ঠান হিসেবে সমাজ বিনির্মাণ, সমাজ সংস্কার, গবেষণার কাজ করে চলেছে। পত্রিকাটি দেশের স্বাধীনতা ও ইসলামি চেতনার একমাত্র মুখপাত্র হিসেবে পাঠকদের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে। প্রায় তিন যুগ বয়সের ইনকিলাব আজ সারাবিশ্বেই প্রভাবশালী মিডিয়া হিসেবে প্রতিপত্তি ও স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ’৮০ দশকে এই পত্রিকাটি প্রিন্টিং টেকনোলজিতে দেশে বিপ্লব এনেছিল। ডিজিটাল টেনোলজির এ যুগে ইনকিলাব আজ ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে চলেছে। ইনকিলাব সম্পাদক গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সম্মেলন কক্ষে দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরো বলেন, এখন সত্যিকারার্থে ভাল মানুষেরা ভাল কাজে এগিয়ে আসছে না, তবে এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম দৈনিক ইনকিলাব। তিনি তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের দীর্ঘ প্রায় তিন যুগের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, সারা দেশে কর্মরত ইনকিলাবের সাংবাদিকরা সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সমাজে প্রভাব প্রতিপত্তি অর্জন করেছে। সংবাদপত্র পাঠকদের কাছে ইনকিলাব এখন একটি মডেল। তিনি এই পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করে নিজেদের অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশ ও জনগণের খেদমত করতে হবে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ প্রমাণ করে দিয়েছেন বয়স মানুষের ইনটেলেক্ট কোয়ালিটি বাড়ায়, কাজেই ইনকিলাবে কর্মরত সাংবাদিকদের এখন একটি টিম ওয়ার্কের ভিত্তিতে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যেতে হবে।
দিনব্যাপী এই প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন, ইনকিলাবের নির্বাহী পরিচালক ফাহিমা বাহাউদ্দীন। ইনকিলাবের ক্রীড়া সম্পাদক ও বিশেষ সংবাদদাতা রেজাউর রহমান সোহাগের সঞ্চালনায় এই প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বার্তা সম্পাদক সাকির আহমেদ, পরিচালক (বাণিজ্য ও প্রশাসন) মো. আব্দুল কাদের, জেনারেল ম্যানেজার রবিউজ্জামান, আইটি বিভাগের প্রধান সৈয়দ আহসানুর রহমান গালীব, মফস্বল সম্পাদক আলম শামস, সহকারী সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইনকিলাবের পরিচালক নাজিফা বাহাউদ্দীন, জি.এম (হিসাব) সিরাজুল ইসলাম, ম্যানেজার (কালেকশন) আমিনুল ইসলাম তুহিন, জিএম (সার্কুলেশন) সোহেল আহমেদ।
এই প্রতিনিধি সম্মেলনে ফাহিমা বাহাউদ্দীন প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, ওয়েব র্যাংকিং-এ ইনকিলাব এখন খুবই ভাল অবস্থানে আছে। আপনাদের কোয়ালিটি নিউজের মাধ্যমে এই র্যাংকিং আরো উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। বার্তা সম্পাদক সাকির আহমেদ বলেন, সাংবাদিকতা শুধু শেখানোর বিষয় নয়, শেখারও বিষয়। আপনাদের শ্রম ও মেধার মাধ্যমে ইনকিলাবকে পাঠকদের আশা, বিশ্বাস ও ভালবাসার প্রতীকে পরিণত করতে হবে।
সূচনা বক্তব্যে ইনকিলাব ব্যুরো চিফ ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমান তোতা বলেন, ইনকিলাব অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়াবার নয়, ইনকিলাব আমাদের অস্তিত্বের সারথী, ইনকিলাব একটি বটবৃক্ষ, বটবৃক্ষ বেঁচে থাকলেই কেবল আমরা তার ছায়া তলে বেঁচে থাকতে পারবো।
প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুরের নাজিম বকাউল, কক্সবাজারের জাকের উল্লাহ চকোরি, বান্দরবানের সা’দত উল্লাহ, মাদারীপুরের আবুল হাসান সোহেল, শরিয়তপুরের হাবিবুর রহমান হাবিব, কুমিল্লার সাদিক মামুন, গাজীপুরের মো. দেলোয়ার হোসেন, কুষ্টিয়ার এস এম আলী আহসান পান্না, বরগুনার মোশাররফ হোসেন, সিরাজগঞ্জের সৈয়দ শামীম শিরাজী, গাইবান্ধার আবেদুর রহমান স্বপন, সাতক্ষীরার আব্দুল ওয়াজেদ কচি ও আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, মাগুরার অধ্যাপক সাইদুর রহমান, লালমনিরহাটের মাওলানা আইয়ুব আলী বসুনিয়া, পাবনার মুরসাদ সুবহানী, ঠাকুরগাঁয়ের রুবাইয়া সুলতানা বানি, চুয়াডাঙ্গার কামাল উদ্দীন জোয়ার্দার, কুড়িগ্রামের শফিকুল ইসলাম বেবু, চাঁদপুরের বি.এ হান্নান, জামালপুরের নূর আলম সিদ্দীকি, শেরপুরের মেরাজ উদ্দীন, কিশোরগঞ্জের নাসির উদ্দীন, ভোলার মো. জহিরুল হক।
সাংবাদিকবৃন্দ তাদের সকলের বক্তব্যেই ইনকিলাব প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক মন্ত্রী মরহুম মাওলানা এম এ মান্নানের (রহ.) স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করেন। তারা বলেন, ইনকিলাব যে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয় সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ইনকিলাবের মফস্বল পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। অতীতে শত নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা-মামলার শিকার হয়ে তাঁরা কেউই ইনকিলাবকে ছেড়ে যাননি, সাংবাদিকতার আদর্শ থেকেও বিচ্যূত হননি, ভবিষ্যতেও কেউ হবে না ইনশা আল্লাহ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মফস্বল সম্পাদক আলম শামস বলেন, যত সমস্যা সঙ্কট থাকুক না কেন সাংবাদিকতার মহান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে কোয়ালিটি সাংবাদিকতার মাধ্যমে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইনকিলাবে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। এ পর্বে অনলাইন সাংবাদিকতার ওপরে ডিজিটাল টেকনোলজি সংক্রান্ত বিষয় উপস্থাপন করেন সহকারী সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ ও আইটি বিভাগের প্রধান সৈয়দ আহসানুর রহমান গালীব।
সকাল সাড়ে ১০টায় হাফেয মাওলানা মিজানুর রহমানের কুরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার মাধ্যমে প্রতিনিধি সম্মেলন ২০১৯ এর সূচনা হয়। সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ সংবাদদাতা ও চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ শফিউল আলম, রাজশাহী ব্যুরো চিফ ও বিশেষ সংবাদদাতা রেজাউল করিম রাজু, বরিশাল ব্যুরো চিফ ও বিশেষ সংবাদদাতা নাছিম উল আলম, ব্যুরো চিফ ফোরামের সদস্য সচিব, বিশেষ সংবাদদাতা ও নোয়াখালী ব্যুরো চিফ আনোয়ারুল হক আনোয়ার, বিশেষ সংবাদদাতা ও বগুড়া ব্যুরো চিফ মহসিন রাজু, বিশেষ সংবাদদাতা ও ময়মনসিংহ ব্যুরো চিফ মো. শামছুল আলম খাঁন, বিশেষ সংবাদদাতা ও কক্সবাজার ব্যুরো চিফ শামছুল হক সারেক, দিনাজপুর আঞ্চলিক অফিস প্রধান মাহফুজুল হক আনার, খুলনা ব্যুরো চিফ আবু হেনা মুক্তি, সিলেট ব্যুরো চিফ ফয়সাল আমীন, বেনাপোল অফিস স্টাফ রিপোর্টার মহসিন মিলন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।