পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী ১০বছরের মধ্যে ঢাকার সব নদীপথকে পুরানো অবয়বে ফিরিয়ে আনা হবে। নৌপরিবহন ব্যবস্থাকে আরো মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। নদীর তীর দখলমুক্ত ও নদী দূষনরোধ করে নদীর সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে।আবহমান বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে নদীর সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার বিকল্প নাই। এজন্য নদীর সাথে সম্পৃক্ত জনগণ,নৌযান মালিক, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আজ শনিবার(৩০মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় সদরঘাট টার্মিনালে এমভি সুন্দরবন-১১ লঞ্চে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন ও নৌ র্যালীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না।তার নেতৃত্বেই পাকহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২সালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। নৌপথে এতো নিরাপদ ও আনন্দময় যাতায়াত যা অন্য কোন পথে আর নেই। নৌপথ আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। তাই আমরা নৌপথকে আন্তর্জাতিকমানের করার চেষ্টা করছি। দেশের সব পুরাতন নদীগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের দেশের নৌপথের পরিবেশ এমনভাবে সৃষ্টি করতে হবে যেন পর্যটকরা সেপথে আকৃষ্ট হয়। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবনের প্রথম যখন ঢাকায় আসেন তখন তিনি কিন্তু নৌপথেই ঢাকায় এসেছিলেন। একসময় ঢাকায় পুর্তগীজরা ব্যবসা করার জন্য আসত। এখন আর আসে না। কারণ ঢাকার সেই পরিবেশ আর নাই। আমাদেরকে ঢাকার সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সদরঘাট,মেরীএন্ডারসন ও পাগলাঘাটে পর্যটকরা যেন এসে আমাদের প্রশংসা করে।তাই ওই ঘাটগুলোকে সেরকম পরিবেশেই পরিণত করতে হবে। রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল ও সুকান্তোর মতো কবি আর সৃষ্টি হবে না যারা নদীকে কেন্দ্র করে অনেক কবিতা লিখেছেন। যে জাতীর মধ্যে কবি, সাহিত্যিক নাই সেই জাতী কোনদিন আলোকিত হতে পারে না। তাই নদীকে ভালবাসতে হবে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হত না। গত ১০বছর ধরে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হয়। গত ১০বছরে বাংলাদেশে সরকারী ও বেসরকারীভাবে অনেক ড্রেজার যোগ হয়েছে। বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে হলে এই নদী ডেজিং করতে হবে। কিন্তু বুড়িগঙ্গার তলদেশে যে পরিমাণ পলিথিনসহ অন্যান্য ময়লার স্তূপ জমেছে তা পুরস্কার করতে হলে স্পেশাল ড্রেজারের প্রয়োজন হবে নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর(অবঃ) রফিকুল ইসলাম, নৌপরিবহন সচিব মোঃ আব্দুস সামাদ, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর মাহবুব-উল-ইসলাম, নৌপুলিশের ডিআইজ শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান,বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক মোঃ নুরুল হক,বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মোঃ মঞ্জুরুল কবীর প্র্রমুখ। দিবসটি উপলক্ষে সকালে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে একটি নৌ র্যালী বের হয়ে ফতুল্লাহ গিয়ে আবার সদরঘাট টার্মিনালে ফিরে আসে। এসময় নান রঙে সজ্জিত ১০-১২টি লঞ্চ নৌর্যালীতে অংশ নেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।