পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঝিনাইগাতীর সেই গারো পাহাড়! যেখানে এখনও কিছু কিছু বনমোরগ-মুরগি চোখে পড়ে। ইতোপূর্বে যেভাবে বিচরণ দেখা যেত, এখন আর সেভাবে নেই! সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। ঐতিহ্যবাহী ঝিনাইগাতী গারো পাহাড় থেকে বনমোরগ-মুরগী বলতে গেলে হারাতে বসেছে।
শুধুমাত্র দেখা বা ছবি তোলার ইচ্ছেতে পাখি প্রেমিকরা গারো পাহাড়ের অরণ্যে গিয়ে হতাশ হয়েই ফিরেন। নির্বিচারে বন ধ্বংস, বন বিভাগের সরকারি খাস জমি দখল করে বাড়ি-ঘর নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে বনমোরগ-মুরগী হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে স্থান নিয়েছে বিপন্ন পাখির তালিকায়।
বনমোরগ-মুরগী অত্যন্ত সতর্ক পাখি। পাহাড়, টিলা, প্রাকৃতিক শাল-গজারীর নিরাপদ বনে একাকি, জোড়ায়, কখনো দলবদ্ধভাবে থাকে। সকাল-সন্ধ্যায় বনের কাছাকাছি খোলা যায়গায় খাবার খেতে বের হয়। দ্রæত দৌঁড়াতে এবং উড়তে পারা বনমোরগ-মুরগী মানুষের পায়ের শব্দ পেলেই বনের গভীরে মুহুর্তেই হাওয়া হয়ে যায়। তবে ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ে এখনো হঠাৎ কিছু কিছু চোখে পড়ে। তাই কক-কক ডাক-চিৎকার শুনতে অথবা একটুখানি দেখেই তৃপ্তি মেটাতে ছুটে যান অনেক পাখি প্রেমিক।
বয়স্ক লোকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, গারো পাহাড়ের পাদদেশে ঘন প্রকৃতিক বনের ভেতর ঝোপ-ঝাড়ে বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের দিকে এরা বাসা তৈরি করে। ৬-৭টি ডিম দেয় এবং ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ২০-২২দিন পর্যন্ত সময় লাগে। বাচ্চাগুলো বাসা থেকে নেমেই খাবার খেতে পারে।
ফল, বীজ, শষ্যকনা, কঁচি কঁচি পাতা, কেঁচো এবং কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাদ্য। ভোর হলেই এসব বনমোরগ-মুরগী খাবারের সন্ধানে বের হয়। আবার বনাঞ্চলে কোন গাছে ফল ঝরতে শুরু করলে প্রতিদিন সকাল-বিকাল সেই গাছতলায় আসে ঝরেপড়া ফল খেতে। কখনো গাছে উঠেও ফল খায়। বনমোরগ-মুরগী দেখতেও গৃহপালিত মোরগ-মুরগীর মতই। তবে পার্থক্য শুধু লেজের দুটি পালক লম্বা থাকে। অনেকে মন্তব্য করে বলেন, এসব মোরগ-মুরগী গৃহপালিত মুরগ-মুরগীর পূর্বপুরুষ হতে পারে।
জানা যায়, অতীতে এশিয়া অঞ্চলে বনের এই পাখিকে পোষ মানানো হয়। কিন্তু বর্তমানে অব্যাহত বনাঞ্চল উজাড় এবং এখনো গোপনে শিকারীদের করণে এই পাখি আজ বিলুপ্ত হতে চলেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।