ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক তমাল। পণ্য পরিবহনের কাজ করা প্রতিষ্ঠান ইইউআর সার্ভিস বিডি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক ছিলেন তিনি। এফ আর টাওয়ারেই ছিল তার অফিস।
গতকালের ভয়াবহ আগুন কেড়ে নিয়েছে তমালের জীবন। বিকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ৩২ বছর বয়সী ফারুকের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায় বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান। তার কাছেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আইডি পাওয়া যায়। হাসপাতালে ছুটে আসেন ফারুকের বাবা মকবুল আহমেদ এবং তার দুই ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন তুহিন ও আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।
মকবুল আহমেদ জানান, তার তিন ছেলের মধ্যে মেজ ফারুক। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের শ্রী-কালিয়া মুন্সিবাড়ী। ফারুক বিবাহিত, তার একটি মেয়ে রয়েছে। ডেমরার বাওয়ানী আদর্শ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর ঢাকার নটরডেম কলেজে পড়েছেন ফারুক। এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন তিনি।