পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এই সরকার আইয়ুব খান-ইয়াহিয়া খানকে হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, যখনই তথ্য দেয়া হয় অসাধারণ উন্নতি। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান ও ইয়াহিয়া খানের সময়ে এসব উন্নয়নের বক্তৃতা শুনে বঙ্গবন্ধু ধিক্কার দিয়েছিলো- কিসের উন্নতির কথা তারা বলছে। আমাদের দেশকে তো শেষ করে দিচ্ছে। আইয়ুব খান অহংকারের সাথে বলতো আমি চারিদিকে উন্নয়ন করে দিচ্ছি। উন্নয়ন শব্দটা আমাদের কাছে, বঙ্গবন্ধুর কাছে ওই সময়ে ঘৃণিত শব্দ হয়েছিলো। উন্নয়ন শব্দটা কী ধরনের ঘৃণার শব্দ হয় যখন স্বৈরাচার এটাকে ব্যবহার করে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিতে ঘুরানোর জন্য। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, আপনারা মনে করবেন না যে, এসব করে আপনারা পার পাবেন। কেননা এই ১৬ কোটি মানুষের সঙ্গে যে বেঈমানী করা হচ্ছে, যেভাবে তাদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে-এটা আমি বলব যে, আইয়ুব-ইয়াহিয়াকে হার মানিয়ে দিচ্ছে। দেশে যেসব অপচয় হচ্ছে, যেসব জিনিসকে বলা হচ্ছে- উন্নয়ন, উন্নয়ন- এটা ঋণের বোঝা ছাড়া আর কিছু না।
প্রকল্পের নামে ঋণের বোঝা চাপিয়ে সরকার দেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকারের যে প্রচার হচ্ছে, দেশে অসাধারণ উন্নতি হচ্ছে। আমরা অমুক সনে এই হবো, তমুক সনে ওই হবো। আমাদের যারা অর্থনীতিবিদ আছেন, যারা পরিসংখ্যানগুলো মিলিয়ে পর্যালোচনা করতে পারেন তারা স্পষ্ট করে বলছেন যে, আমাদের অর্থনীতিকে দেউলিয়ার দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। কিভাবে ঋণ নিতে হচ্ছে, এক টাকার জিনিস চার টাকায়, এক‘শ টাকার জিনিস চার‘শ টাকায় করে যেসব প্রকল্পগুলো হয়েছে। কী মূল্যে কী ঋণে হয়েছে? সুদের যে বোঝা- এক বছর, দুই বছর, চার বছর পরে যোগ করে দেখি- এই ঋণের বোঝা সামলানোর কত কঠিন হবে- একবার ভাবুন। আমি আজকে দাবি জানাচ্ছি, যেসব উন্নয়নের কথা বলছেন, যেসব প্রকল্পের কথা বলছেন-মূল্য বলেন, ঋণ বলেন, ঋণ শোধ করতে কতদিন লাগবে- এসব তথ্য আমাদেরকে দিন। উন্নয়নের প্রকল্পের হিসাব জনগণকে দেন।
একাদশ সংসদকে কাল্পনিক সংসদ অভিহিত করে গণফোরাম সভাপতি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন ছিলো না, এটা একটা কাল্পনিক নির্বাচন ছিল। এখন তথাকথিত সংসদ শুনা যায়। অনেকে সংসদ সংসদ বলেছেন। আমি তো কোনো পার্লামেন্ট আমার চোখের সামনে দেখি না। সংসদ বললেই সংসদ হয় না, নির্বাচিত বললেই নির্বাচিত হয় না। আমি ওদের বলি, ঠিক আছে সংসদ আছে, এমপি হয়েছেন। ধরে নিলাম, নির্বাচন না করে এমপি বলতে আপনারা লজ্জ্বাবোধ করেন না। তাহলে আপনাদের কোনো কাজ আছে কিনা? আপনারা কোথায় জানতে চেয়েছেন আয়-ব্যয়ের হিসাব, কোথায় জানতে চেয়েছেন প্রকল্পের হিসাব, কত ঋণের করা হচ্ছে?
দ্রæত আন্দোলন হতে হবে জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, বেশি দিন নিয়ে আন্দোলন হলে ঋণের বোঝা বাড়তে বাড়তে সারা অর্থনীতিকে চুরমান করে দেবে, আমাদের অর্থনীতিকে ধবংস করে দেবে। সুতরাং আন্দোলন ধীরস্থিরভাবে করা চলবে না। সরকার পরিবর্তন এখনই চাই। তিনি বলেন, এখনই নির্বাচন দেন। এই বছরের মধ্যে নির্বাচন দিন। আপনার যদি সৎ সাহস থাকে, বুকের পাঁটা থাকে- এখনই নির্বাচন দিন। সংসদীয় গণতন্ত্রের মধ্যে দুই-একবছরের মধ্যেও নির্বাচন দেয়া যায় যখনই আস্থার একটা চ্যালেঞ্জ হয়। দেশের মানুষের আস্থা এই সরকারের ওপর বিন্দু মাত্র নেই। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি। আমাকে মিথ্যুক প্রমাণিত করতে চাইলে নির্বাচন দিন, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। নির্বাচন কমিশন আমাদের কাছে নিরপেক্ষ হতে হবে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকার পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী খোকা বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।