Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

লাইসেন্সবিহীন চালকের তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

সারাদেশে ফিটনেস-নিবন্ধনহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সহীন চালকের তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। বিআরটিএ চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকার ট্রাফিক পুলিশের উত্তর ও দক্ষিণের ডিসি ও বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার এ বিষয়ে একটি পত্রিকার প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দেন। এসময় আদালত বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। সকলকেই আইন মেনে চলতে হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে কোনও দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে না। এইভাবে সড়কে অরাজকতা চলতে দেয়া যায় না। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বরদাস্ত করা হবে না।
আদেশে বিআরটিএ’র সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক মাহবুব-ই-রাব্বানীকে আগামী ৩০ এপ্রিল সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কতগুলো গাড়ির নিবন্ধন ও চালকের লাইসেন্স নবায়নের জন্য জমা আছে, কেন যথাসময়ে নবায়ন করা হচ্ছে না সে বিষয়েও তথ্য জানাতে আদেশ দিয়েছেন। সড়ক একের পর এক দুর্ঘটনায় সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে ৭১ হাজার ফিটনেসহীন গাড়ি নিয়ে গত ২৩ মার্চ সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্টের আদেশ দেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। আদেশের সময় আদালতে উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিনউদ্দিনের বক্তব্যও জানতে চান আদালত। এছাড়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিকও আদালতে তার মত দেন।
ফিটনেসবিহীন ও নিবন্ধনহীন যান চলাচল এবং লাইসেন্স ছাড়া যান চালানো রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার সম্বলিত সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদের চেতনা বাস্তবায়নে মোটরযান অধ্যাদেশ-১৯৮৩সহ সংশ্লিষ্ট সকল আইন কঠোরভাবে মেনে চলতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের আইজি, বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ ৭জনকে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ