বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ধানের মূল্য না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছে কৃষক। দিন দিন ধানের দাম কমতে থাকায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায় কৃষকদের এই দূরবস্থার চিত্র। আমন ধান ডিসেম্বর মাসে কৃষকরা ঘরে তুললেও ন্যায্যমূল্য না থাকায় কিছু কৃষক ভালো দাম পাবার আশায় ঘরে মজুদ করেছিলেন। দেখা যায় জানুয়ারীতে ধানের মণ ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও সময় গড়ার সাথে সাথে তা বাড়ার বদলে অব্যাহতভাবে কমছে। বর্তমানে আমনের বিভিন্ন জাতের ধানের দাম যেমন গুটি স্বর্ণ ধান যাচ্ছে বস্তা প্রতি (২ মণ) ১১২০ টাকা থেকে ১১৫০ টাকা দরে। আবার সুমন স্বর্ণ ধান যাচ্ছে বস্তা প্রতি ১১৫০ টাকা থকে ১২০০ টাকা। যা কৃষকের উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেক কম যেখানে এক মণ ধান উৎপাদন করতে খরচ পড়ে ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা।
এই ব্যাপারে মোহাম্মদপুরের কৃষক নাসির, মংলু বলেন কি করে যে ধানের দাম কমে যাচ্ছে হামার মাথাতে আসে না। যত খরচ করছি তার দাম টা যদি না উঠে তাহলে আর কি করিমো ধান চাষ করে। আরেক জন কৃষক বলেন, জমিতে সার, কীটনাশক, ভিটামিন, পানি ব্যবহার করা হয় এর উচ্চ মূল্যে আমরা অস্থির হয়ে পড়েছি, তার পরেও আবাদ করে লাভ টা যদি না পাওয়া যায় তাহলে অকালে আমাদের মরতে হবে। ধানের এই নিম্ন মূল্যে অসহায় হয়ে পড়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো যার বেশির ভাগেই ধানের উপর নির্ভরশীল। ধানের নায্যমূল্য না থাকায় হতাশা বিরাজ করছে। সামনে যখন নতুন উঠবে তখন কি অবস্থা দাড়াবে সেই চিন্তায় চিন্তিত কৃষকরা। চাল ব্যবসায়ী উসমান (শিবগঞ্জ) জানান ধানের বাজার মূল্য কম হলেও সেই তুলনায় চালের দাম কমেনি। আসলে বাস্তব চিত্র দেখা যায় প্রতি বিঘা জমিতে পানি দিতে ২০০০ (দুই হাজার) টাকা লাগে আবার প্রতি বিঘায় ধান কাটলেও লাগে প্রায় দুই থকে আড়াই হাজার টাকা এর মাঝে তিন দফা সার দিতে হয়। দেখা যাচ্ছে উৎপাদন খরচের তুলনায় একেবারে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ধান। তারা আশা করছেন মৌসুমের শুরুতে ধানের দাম বাড়বে। এবং লাভের মুখ দেখতে পাবে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।