Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের সৃষ্টি নয়-নাগরিক সংলাপে বক্তারা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের সূচনা হয়েছিল, সেটির সূচনা এদেশের কারো মাধ্যমে হয়নি। কেননা এ ভূখন্ডের মানুষ যথেষ্ট শান্তিপ্রিয় ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করে। এর ফলে খুব দ্রুতই জঙ্গিবাদকে দমন করা সম্ভব হয়েছে। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’র সার্বিক সহযোগিতায় ‘ডিবেট ফর ডেমোক্র্রাসি’ আয়োজিত ‘তারুণ্য রুখবে সহিংস উগ্রবাদ’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।
ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে নাগরিক সংলাপে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের স¤প্রীতি প্রকল্পের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার আইরিন বাশার রিফাত ও ইসরাত পারভীন শায়লা মনোয়ার প্রমুখ।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, উগ্রবাদ দূর করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন পরিবারভিত্তিক মনস্তাত্তি¡ক শিক্ষা। প্রথমে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরে সামাজিক পরিবেশে ও সর্বশেষে রাষ্ট্রীয়ভাবে এ উগ্রবাদবিরোধী মনস্তাত্তি¡ক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে পুলিশের অ্যান্টিটেরোরিজম ইউনিটের (ডিআইজি) খন্দকার লুৎফুল কবির বলেন, দায় এড়ানোর সংস্কৃতি বাঙালিদের নেই। জঙ্গিবাদ আমাদের ওপর অপরিচিত একটি অবয়ব। এর সূচনা আমাদের দেশে নয়। এটি নির্মূলেও দেশের সব জনগোষ্ঠীর অবদান রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সহিংস উগ্রবাদ মোকাবেলায় আমরা তৃপ্ত নই, এটি তৃপ্ত হওয়ার বিষয়ও নয়। সাধারণত বিভিন্ন জাতীয় দিবসের আগেই উগ্রবাদীদের অপকর্ম ঘটে থাকে। তাই আমরা ঢাকা শহরে বিশেষ নিরাপত্তার অবতরণ করেছি। আর আমাদের সামর্থ্যকে সম্পূর্ণরূপে প্রদর্শন করে উগ্রবাদীদের দমনে সোয়াতসহ বিভিন্ন বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় বলেন, ধর্মটা রাজনীতিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মানুষদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব কমে যাচ্ছে।
তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. মুহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, নিউজিল্যান্ডের ঘটনা প্রমাণ করেছে মুসলিমরা শান্তিপ্রিয়। তাছাড়া মনে রাখতে হবে নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ নাগরিক অধিকার ও মানুষের সম্মান নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। আমি সৌদি আরবে গিয়েও এতটা সম্মান পাইনি। এসব দেশে গিয়ে যতটা সম্মান পেয়েছি। আমাদের দেশে নৈতিকতা শেখার জন্য উপযুক্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। যে কারণে শিশু নির্যাতনের মতো বিভিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। শিক্ষার্থীদের আনন্দদায়ক পরিবেশ উপহার দিতে হবে। তাদেরকে ভালো মানসিকতার অধিকারী বানাতে হবে। তাহলেই সহিংস উগ্রবাদ এড়িয়ে চলা সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ