পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ধর্মের ভিত্তিতে কারো প্রতি কোনো বৈষম্য করা যায় না। নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রাসী হত্যাকান্ডর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ধ্বনি একসাথে উচ্চারিত হয়েছে। সকল ধর্মের সহাবস্থানের জন্য আমরা গর্ববোধ করতে পারি। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ও নিহতদের প্রতি শোক ও সংহতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, পাকিস্তান আমলেও বিবেধ বৈষম্য আর বিভাজন সৃষ্টির জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা হয়েছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে অন্যকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করা হয়েছে। তবে সব কিছুর পরও আমরা বিজয়ী হয়েছি। কাউকে ধর্ম নিয়ে অপব্যবহার করতে দেইনি। তিনি বলেন, সব ধর্মই সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতিকে মর্যাদা দিয়েছে। এ দেশে সকল ধর্মের সহাবস্থান নিয়ে আমরা এখন গর্ববোধ করতে পারি।
ড. কামাল বলেন, স্বাধীনতার অর্জনগুলো ধরে রাখতে স¤প্রীতির মূল্যবোধকে ছড়িয়ে দিতে হবে, ধর্মের ভিত্তিতে ঐক্যকে বিনষ্ট করা সংবিধান সম্মত না, অনেক ক্ষেত্রে মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করতে ধর্মকে ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য ধর্মকে ব্যবহার করা নয়। কিন্তু রাজনৈতিক গোষ্ঠী তাদের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য ধর্মকে অপব্যবহার করছে। বর্তমানে ধর্মকে অপব্যবহার করে মানুষের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সংবিধানেও আছে ধর্মকে অপব্যবহার করা যাবে না। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক, এই নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সব ধর্মের সঙ্গে স¤প্রীতি গড়ে তোলা। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, মানুষের সকল অধিকারকে রক্ষা করতে হবে। ধর্মের নামে বৈষম্য আমাদের দেশে নাই।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে সংহতি সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্থাস্থ্যের ট্রাষ্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাবির আইনের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোফাজ্জল করিম, নারী অধিকার আন্দোলনের নেত্রী রিটা রহমান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ কামাল উদ্দিন জাফরী, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, ব্যরিষ্টার রুবিনা আফরোজ, অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, বাসদ নেতা কমরেড খালেকুজ্জামান, জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা ফজলে এলাহী আকবর, ব্যারিষ্টার এম সারোয়ার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মজিবুর রহমান মঞ্জু। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।